শরীর ও মনকে ফিট রাখার ৯টি উপায়

শরীর ও মনকে ফিট রাখার ৯টি উপায় আমরা সকলে চাই যে আমাদের শরীর সুস্থ থাকুক। কিন্তু বর্তমান সময়ে বয়স নয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তার সাথে ত রোগ শোকলেগেই থাকে।

সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার ফলে সুগার, প্রেশার, শরীরে বিভিন্ন অংশে ব্যথা এই সমস্ত রোগগুলি শরীরে সহজে বাসা বাঁধতে পারে। উপরের সমস্যাগুলো বর্তমান সময়ে প্রায় যেকোন বয়সের মধ্যেই এই সব রোগ এবং সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্ত রোগ এবং সমস্যাগুলো বেশির ভাগ সময় সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়। নিম্নে কতিপয় সঠিক স্বাস্থ্যবিধি গুলো তুলে ধরা হলো:

শরীর ও মনকে ফিট রাখার ৯টি উপায়

১.ধর্মীয় আনুশাসন মেনে চলাঃ মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে সে তার খারাপ অভ্যাস গুলো পরিত্যাগ করতে পারে এতে করে তার শরীর ভালো থাকবে। পৃথিবীর বুকে কোন ধর্ম নেই যে খারাপ কাজ করতে বলা হয়েছে। সব ধর্মে ভালো কাজ করার জন্য উৎস প্রধান করা হয়েছে।

২. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমঃ বর্তমান আধুনিক এই যুগে মানুষের সময়ের বড়ো অভাব। ফলে দেখা যায় প্রায় অধিকাংশ মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমেতে পারে না সময় কাটছাঁট কম বেশি সকলেরই হয়। কিন্তু একটা কথা প্রায় মানুষের ক্ষেত্রে লহ্ম্য করা যায় যে তাদের শরীরটি একটি যন্ত্রের মতো। তাই শরীর দিয়ে যেমন কাজ করানো যায়, তেমনই শরীরের দরকার হয় বিশ্রামের। তার থেকেও বেশি ঘুম শুধু শরীরকে বিশ্রাম দেয় না।

বিশ্রাম দেয় মাথাকেও। ফলে এই বিশ্রাম শরীরের জন্য অপরিহার্য একটি বিষয়। সকল মানুষের হ্মেত্রে প্রতিদিন রাতে কম পক্ষে আট থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। তা না হলে ঘুমের অভাব দেখা যায়। মানুষের শরীরকে দুর্বল করে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ মতো ঘুমলে শরীর অনেকাংশ সুস্থ থাকে। ডা. গেভিন (এক্সেটার ইউনিভার্সিটির স্পোর্ট অ্যান্ড হেলথ) মতে, ঘুম কম হলে মানুষের কগনিটিভ ফাংশন বা নতুন জিনিস শেখার ক্ষমতা কমে যায়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাও কমে যায়, মনে দ্বিধা দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে। এধরনের সমস্যা গুলো তিনি তুলে ধরেন। সর্বপারি শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানে আবশ্যক।

৩. শারীরিক পরিশ্রম করুনঃ আপনার বয়স যা-ই হোক না কেন,শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিতভাবে শারীরিক পরিশ্রম করা প্রয়োজন।বর্তমান লোকে যথেষ্ট ব্যায়াম করে না। ব্যায়াম করা কেন গুরুত্বপূর্ণ? শারীরিক পরিশ্রম করা আপনাকে এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

৪. প্রচুর ফল ও শাকসবজি খান : ফল ও শাকসবজি থেকে আমরা খনিজ, ভিটামিন ও আঁশজাতীয় খাবার পেয়ে থাকি। দিনে ৫ বার আমাদের এসব খাওয়া উচিত। যেমন, সকালের নাশতায় থাকতে পারে এক গ্লাস জুস অথবা একটি আপেল বা এক ফালি তরমুজ। অন্যান্য বেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে নানাজাতীয় সবজি।

৫. স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ভরা খাবার খান : চর্বি বা ফ্যাট সুস্বাস্থ্য এবং দেহকে ঠিকঠাকভাবে কাজ করানোর জন্য বেশ জরুরি। কিন্তু এর বাহুল্য ওজন ও হূদধমনির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফ্যাটের ভিন্নতা ভেদে স্বাস্থ্যের ওপর রয়েছে এর ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব এবং এরকম কিছু টিপস আমাদের সঠিক ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করবে। আমাদের অপ্রক্রিয়াজাত বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট (যা প্রাণিজ খাবার থেকে পাওয়া যায়), যা সহজে হজম হয় না ও শরীরে জমতে থাকে, এমন খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। ট্রান্স ফ্যাট বা অপ্রক্রিয়াজাত চর্বি একেবারে খাওয়া উচিত না। খাবারের গায়ে লেবেল পড়লেই এ সম্পর্কে জানা যাবে। সপ্তাহে ২/৩ বার মাছ এবং কমপক্ষে একবার তৈলাক্ত মাছ খাওয়া আমাদের সঠিক মাত্রায় আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণে ভূমিকা রাখবে। ভাজাভুজির বদলে সেদ্ধ, ভাপা বা বেক করা খেতে চেষ্টা করুন। মাংসের চর্বিজাতীয় অংশ ফেলে দেবেন এবং ভেজিটেবল অয়েলে রান্না করুন।

৬. লবণ ও চিনি কম খান : বেশি লবণ খেলে রক্তচাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হূদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। লবণ খাওয়া কমাতে কম সোডিয়াম আছে এমন খাবার কিনুন। রান্নায় লবণের বদলে নানা ধরনের ও স্বাদের মসলা ব্যবহার করুন এবং খাবারের টেবিলে লবণদানি না রাখাই ভালো।

৭. নিয়মিত খান, পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন : স্বাস্থ্যকর ডায়েটের সেরা ফর্মুলা হচ্ছে বাহারি খাবার নিয়মিত ও সঠিক পরিমাণে খাওয়া। ঠিকমতো খাবার না খেলে তা অনিয়ন্ত্রিত ক্ষুধা নিয়ে আসে যার ফল হচ্ছে অতিভোজন। ভরপেট খাবার খাওয়ার মাঝে হালকা নাস্তা খেতে পারেন যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। নাস্তা হিসেবে আমরা বেছে নিতে পারি দই, একমুঠো রসালো বা শুকনো ফল, লবণ ছাড়া বাদাম বা পনির মাখানো এক টুকরো রুটি।

৮. প্রচুর পানীয় পান করুন : কর্মক্ষম বয়স্ক মানুষের দৈনিক ১.৫ লিটার বা তার বেশি তরল খাবার খাওয়া উচিত। পানি হচ্ছে সেরা তরল, চাইলে ট্যাপ বা মিনারেল, সাদামাটা বা ফ্লেভারযুক্ত পানি আমরা পান করতে পারি। সময় সময় ফলের রস, চা, সফট ড্রিংকস, দুধ ও অন্যান্য পানীয়ও চলতে পারে।

৯. সঠিক ওজন বজায় রাখুন : লিঙ্গ, বয়স, উচ্চতা এবং জিনের ওপর নির্ভর করছে আমাদের সঠিক ওজন। অতিরিক্ত ওজন নানা রোগের ঝুুঁকি, যেমন ডায়াবেটিস, হূদরোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিভোজন থেকেই অতিরিক্ত বডিফ্যাট তৈরি হয়। আমিষ, চর্বি, কার্বোহাইড্রেট বা মদ- এসব খাবার থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি আসতে পারে। তবে চর্বিতে শরীরের সবচেয়ে বেশি শক্তি ঘন হয়ে জমা থাকে। শারীরিক কর্মকাণ্ড আমাদের শক্তি ক্ষয় করে ও আমাদের ভালো রাখে। ওজন বাড়তে থাকলে কম খান এবং শারীরিক পরিশ্রম করুন।

আরও পড়ুন:

ডায়াবেটিস কি কেন হয় বাঁচার উপায় কি

কক্সবাজারে প্যারাসুট দিয়ে আকাশ ভ্রমণ

About Karmojog

Check Also

কোন রোগের জন্য কি টেষ্ট করা হয় জেনে নিন

কোন রোগের জন্য কি টেষ্ট করা হয় জেনে নিন

কোন রোগের জন্য কি টেষ্ট করা হয় জেনে নিন আমরা সকলে চাই যে আমাদের শরীর …