নবম (৯ম) শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ | ৪র্থ সপ্তাহ প্রিয় শিক্ষার্থী আপনি যদি নবম (৯ম) শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ সন্ধান করছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের কর্মযোগ ডট কমে। নবম (৯ম) শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর প্রকাশ করেছি। আপনি আপনার শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্ন এবং সমাধান গুলিও দেখতে পারেন।
নবম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২
অ্যাসাইনমেন্টের নমুনা উত্তর দেখার ফলে আপনাদের অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করা আপনার পক্ষে সুবিধাজনক হবে। নবম (৯ম) শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এসাইনমেন্টের সমাধান আমরা প্রতিটি বিষয় ধাপে ধাপে এখানে প্রকাশ করেছি। তাই আপনি আমাাদের ওয়েব সাইটে kormojog.com আপনার শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের উত্তর সংগ্রহ করতে পারবেন। নীচে আপনার অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর দেওয়া হলো নবম (৯ম) শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২। যতটা সম্ভব হুবহু কপি না করে কিছুটা নিজের ভাষায় লিখলে সম্পূর্ণ নম্বর পাওয়া সম্ভব হলে আমাদের আশা।
নবম (৯ম) শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ | ৪র্থ সপ্তাহ
প্রিয় শিক্ষার্থী আপনি যদি ৪র্থ সপ্তাহের নবম (৯ম) শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় উত্তর/সমাধান সন্ধান করছেন, আমরা আপনাদের জন্য বিশেষজ্ঞের সহায়তায় আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোত্তম বিজ্ঞান উত্তর প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি আপনার বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টটি সম্পূর্ণ করতে, নিচের নমুনা উত্তর আপনাকে আপনার অ্যাসাইনমেন্ট লেখার অনেক সহায়তা করবে।
Class 9 Bangladesh and global studies assignment answer 2022 4th week
নবম (৯ম) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সম্পর্কে সকল তথ্য আমাদের এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সম্পর্কিত কোন তথ্য জানতে চান, তাহলে আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালভাবে পড়ুন। তাহলে আশা করা যায় নবম (৯ম) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সম্পর্কে সকল তথ্য আপনি আমাদের এই পোস্টটি থেকে জানতে পারবেন।
প্রিয় শিক্ষার্থী যেহেতু প্রত্যেকে তোমাদের নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্ট তোমাদের বিদ্যালয়ে জমা দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে হবে। সেজন্য ক্লাস নবম (৯ম) শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের জন্য এই অ্যাসাইনমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নবম (৯ম) শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২
শিক্ষার্থীরা সবসময় ইন্টারনেটে দেওয়া উত্তরটি হুবহু লেখে শিক্ষকের নিকট জমা দেন। এভাবে উত্তর জমা দেওয়া মোটেও ভাল কাজ নয়। আপনারা অবশ্যই আমাদের দেওয়া উত্তরটি ভালোভাবে পড়ে নিজের মতো করে ধারনা নিয়ে তারপরে লিখে তার শিক্ষকের নিকট জমা দিন। এতে করে আপনি সম্পূর্ণ নম্বর পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন। আশা করি পরবর্তী সপ্তাহ থেকে আমাদের নির্দেশনাগুলো মেনে ভালো নম্বর পাওয়ার লক্ষ্যে আমাদের ওয়েবসাইটের উত্তরটি দেখে নিজের মতো করে লিখবেন এবং সম্পূর্ণ নাম্বার পাওয়ার পর আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন।
নবম (৯ম) শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ |
শ্রেণি | নবম (৯ম) |
বিষয় | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় |
সপ্তাহ | ৪র্থ |
সাল | ২০২২ |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | www.dshe.gov.bd |
অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পেতে | kormojog.com |
নবম (৯ম) শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ | ৪র্থ সপ্তাহ
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ ইতিহাসের ধারণা, পরিসর এবং ইতিহাস পাঠের প্রয়ােজনীয়তা।
শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা, স্বরূপ ও পরিসর . ব্যাখ্যা করতে পারবে
ইতিহাস পাঠের প্রয়ােজনীয়তা আলােচনা করতে পারবে।
অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়নের নির্দেশনাঃ
নিচের ধাপগুলাে অনুসরণ করে অ্যাসাইনমেন্টটি তৈরি করতে হবে।
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
ইতিহাসের পরিসর বর্ণনা করতে হবে
মানবজীবনে ইতিহাস পাঠের প্রয়ােজনীয়তা বিশ্লেষণ করতে হবে
নবম (৯ম) শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ | ৪র্থ সপ্তাহ
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
‘ইতিহাস’ শব্দটির উৎপত্তি ‘ইতিহ’ শব্দ থেকে; যার অর্থ ‘ঐতিহ্য। ঐতিহ্য হচ্ছে অতীতের অভ্যাস, শিক্ষা, ভাষা, শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি যা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এই ঐতিহ্যকে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয় ইতিহাস। ই. এইচ. কার-এর ভাষায় বলা যায়, ইতিহাস হলাে বর্তমান ও অতীতের মধ্যে এক অন্তহীন সংলাপ। বর্তমানের সকল বিষয়ই অতীতের ক্রমবিবর্তন ও অতীত ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আর অতীতের ক্রমবিবর্তন ও ঐতিহ্যের বস্তুনিষ্ঠ বিবরণই হলাে ইতিহাস।
তবে এখন বর্তমান সময়ের ইতিহাস লেখা হয়, যাকে বলে সাম্প্রতিক ইতিহাস। সুতরাং ইতিহাসের পরিসর সুদূর অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিস্তৃত। ইতিহাস শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ করলে এরূপ দাঁড়ায়, ইতিহ + আস। যার অর্থ এমনই ছিল বা এরূপ ঘটেছিল। ঐতিহাসিক ড. জনসনও ঘটে যাওয়া ঘটনাকেই ইতিহাস বলেছেন। তাঁর মতে, যা কিছু ঘটে তাই ইতিহাস। যা ঘটে না তা ইতিহাস নয়।
গ্রিক শব্দ হিস্টরিয়া (Historia) থেকে ইংরেজি হিস্টরি (History) শব্দটির উৎপত্তি, যার বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে ইতিহাস। হিস্টরিয়া’ শব্দটির প্রথম ব্যবহার করেন গ্রিক ঐতিহাসিক হেরােডােটাস (খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতক)। তিনি ইতিহাসের জনক হিসেবে খ্যাত। তিনিই সর্বপ্রথম তাঁর গবেষণাকর্মের নামকরণে এ শব্দটি ব্যবহার করেন, যার আভিধানিক অর্থ হলাে সত্যানুসন্ধান বা গবেষণা। তিনি বিশ্বাস করতেন, ইতিহাস হলাে- যা সত্যিকার অর্থে ছিল বা কি সংঘটিত হয়েছিল তা অনুসন্ধান করা ও লেখা।
তিনি তাঁর গবেষণায় গ্রিস ও পারস্যের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করেছেন। এতে তিনি প্রাপ্ত তথ্য, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং গ্রিসের বিজয়গাথা লিপিবদ্ধ করেছেন। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম এ ঘটনা ভুলে না যায়, এ বিবরণ যেন তাদের উৎসাহিত করে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। হেরােডােটাসই প্রথম ইতিহাস এবং অনুসন্ধান- এ দুটি ধারণাকে সংযুক্ত করেন। ফলে ইতিহাস পরিণত হয় বিজ্ঞানে, পরিপূর্ণভাবে হয়ে ওঠে তথ্যনির্ভর এবং গবেষণার বিষয়ে। প্রকৃতপক্ষে মানব সমাজের অনন্ত ঘটনাপ্রবাহই হলাে ইতিহাস।
ইতিহাসবিদ র্যাপসন বলেছেন, ইতিহাস হলাে ঘটনার বৈজ্ঞানিক এবং ধারাবাহিক বর্ণনা। আধুনিক ইতিহাসের জনক জার্মান ঐতিহাসিক লিওপোেল্ড ফন্য ব্যাংকে মনে করেন, প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছিল তার অনুসন্ধান ও তার সত্য বিবরণই ইতিহাস। সুতরাং ইতিহাস হচ্ছে মানব সভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিক ও সত্যনিষ্ঠ বিবরণ। সঠিক ইতিহাস সবসময় সত্যকে নির্ভর করে রচিত।
ইতিহাসের পরিসর বর্ণনা করতে হবে
মানুষ কর্তৃক সম্পাদিত সকল বিষয় ইতিহাসের আওতাভুক্ত। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা, কার্যক্রম যত শাখা-প্রশাখায় বিস্তৃত, ইতিহাসের সীমাও ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। যেমন- প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রথম পর্বের মানুষের কর্মকাণ্ড খাদ্য সগ্রহের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ফলে সে সময় ইতিহাসের পরিসরও খাদ্য সংগ্রহমূলক কর্মকাণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস চর্চা ও গবেষণায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসৃত হচ্ছে। ফলে ইতিহাসের শাখা-প্রশাখার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে, বিস্তৃত হচ্ছে ইতিহাসের সীমানাও। উনিশ শতকে শুধু রাজনীতি ইতিহাসের বিষয় হলেও মার্কসবাদ প্রচারের পর অর্থনীতি, সমাজ, শিল্পকলার ইতিহাসও রচিত হতে থাকে। এভাবে একের পর এক বিষয় ইতিহাসভুক্ত হচ্ছে আর সম্প্রসারিত হচ্ছে ইতিহাসের পরিধি ও পরিসর।
মানবজীবনে ইতিহাস পাঠের প্রয়ােজনীয়তা বিশ্লেষণ করতে হবে
মানবসমাজ ও সভ্যতার বিবর্তনের সত্য-নির্ভর বিবরণ হচ্ছে ইতিহাস। এ কারণে জ্ঞানচর্চার শাখা হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব অসীম। ইতিহাস পাঠ মানুষকে অতীতের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থা বুঝতে, ভবিষ্যৎ অনুমান করতে সাহায্য করে। ইতিহাস পাঠের ফলে মানুষের পক্ষে নিজের ও নিজদেশ সম্পর্কে মঙ্গল-অমঙ্গলের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। সুতরাং দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং ব্যক্তি প্রয়ােজনে ইতিহাস পাঠ অত্যন্ত জরুরি। জ্ঞান ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করে : অতীতের সত্যনিষ্ঠ বর্ণনা মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর এ বিবরণ যদি হয় নিজ দেশ-জাতির সফল সগ্রাম ও গৌরবময় ঐতিহ্যের, তাহলে তা মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।
একই সঙ্গে আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে। সে ক্ষেত্রে জাতীয়তাবােধ, জাতীয় সংহতি সুদৃঢ়করণে ইতিহাস পাঠের বিকল্প নেই। সচেতনতা বৃদ্ধি করে: ইতিহাস – জ্ঞান মানুষকে সচেতন করে তােলে। উত্থান-পতন এবং সভ্যতার বিকাশ ও পতনের কারণগুলাে জানতে পারলে মানুষ ভালাে-মন্দের পার্থক্যটা সহজেই বুঝতে পারে। ফলে সে তার কর্মের পরিণতি সম্পর্কে সচেতন থাকে।
দৃষ্টান্তের সাহায্যে শিক্ষা দেয় : ইতিহাসের ব্যবহারিক গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষ ইতিহাস পাঠ করে অতীত ঘটনাবলির দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিতে পারে। ইতিহাসের শিক্ষা বর্তমানের প্রয়ােজনে কাজে লাগানাে যেতে পারে। ইতিহাস দৃষ্টান্তের মাধ্যমে শিক্ষা দেয় বলে ইতিহাসকে বলা হয় শিক্ষণীয় দর্পন।ইতিহাস পাঠ করলে বিচার-বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ে, দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে জ্ঞান চর্চার প্রতি আগ্রহ জন্মে।
প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট পাওয়ার জন্য kormojog.com এর ফেসবুক পেইজ কর্মযোগ লাইক এবং ফলো করে রাখ।