সপ্তম-৭ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ | ৪র্থ সপ্তাহ প্রিয় শিক্ষার্থী আপনি যদি সপ্তম-৭ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ সন্ধান করছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের কর্মযোগ ডট কমে। সপ্তম-৭ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর প্রকাশ করেছি। আপনি আপনার শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্ন এবং সমাধান গুলিও দেখতে পারেন।
সপ্তম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২
অ্যাসাইনমেন্টের নমুনা উত্তর দেখার ফলে আপনাদের অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করা আপনার পক্ষে সুবিধাজনক হবে। সপ্তম-৭ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এসাইনমেন্টের সমাধান আমরা প্রতিটি বিষয় ধাপে ধাপে এখানে প্রকাশ করেছি। তাই আপনি আমাাদের ওয়েব সাইটে kormojog.com আপনার শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের উত্তর সংগ্রহ করতে পারবেন। নীচে আপনার অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর দেওয়া হলো সপ্তম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২। যতটা সম্ভব হুবহু কপি না করে কিছুটা নিজের ভাষায় লিখলে সম্পূর্ণ নম্বর পাওয়া সম্ভব হলে আমাদের আশা।
সপ্তম-৭ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ | ৪র্থ সপ্তাহ
প্রিয় শিক্ষার্থী আপনি যদি ২য় সপ্তাহের সপ্তম-৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় উত্তর/সমাধান সন্ধান করছেন, আমরা আপনাদের জন্য বিশেষজ্ঞের সহায়তায় আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোত্তম বিজ্ঞান উত্তর প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি আপনার বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টটি সম্পূর্ণ করতে, নিচের নমুনা উত্তর আপনাকে আপনার অ্যাসাইনমেন্ট লেখার অনেক সহায়তা করবে।
Class 7 Bangladesh and global studies assignment answer 2022 4th week
সপ্তম-৭ম বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সম্পর্কে সকল তথ্য আমাদের এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সম্পর্কিত কোন তথ্য জানতে চান, তাহলে আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালভাবে পড়ুন। তাহলে আশা করা যায় সপ্তম-৭ম বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সম্পর্কে সকল তথ্য আপনি আমাদের এই পোস্টটি থেকে জানতে পারবেন।
প্রিয় শিক্ষার্থী যেহেতু প্রত্যেকে তোমাদের নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্ট তোমাদের বিদ্যালয়ে জমা দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে হবে। সেজন্য ক্লাস সপ্তম-৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের জন্য এই অ্যাসাইনমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সপ্তম-৭ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২
শিক্ষার্থীরা সবসময় ইন্টারনেটে দেওয়া উত্তরটি হুবহু লেখে শিক্ষকের নিকট জমা দেন। এভাবে উত্তর জমা দেওয়া মোটেও ভাল কাজ নয়। আপনারা অবশ্যই আমাদের দেওয়া উত্তরটি ভালোভাবে পড়ে নিজের মতো করে ধারনা নিয়ে তারপরে লিখে তার শিক্ষকের নিকট জমা দিন। এতে করে আপনি সম্পূর্ণ নম্বর পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন। আশা করি পরবর্তী সপ্তাহ থেকে আমাদের নির্দেশনাগুলো মেনে ভালো নম্বর পাওয়ার লক্ষ্যে আমাদের ওয়েবসাইটের উত্তরটি দেখে নিজের মতো করে লিখবেন এবং সম্পূর্ণ নাম্বার পাওয়ার পর আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন।
সপ্তম-৭ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ |
শ্রেণি | সপ্তম-৭ম |
বিষয় | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় |
সপ্তাহ | ২য় |
সাল | ২০২২ |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | www.dshe.gov.bd |
অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পেতে | kormojog.com |
সপ্তম-৭ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৪র্থ সপ্তাহ
অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনামঃ
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য: বাংলাদেশের প্রচলিত রেওয়াজ হতে সংস্কৃতির চিহ্নিত এবং বৈচিত্রের কারন উল্লেখ করে গ্রাম শহর ও বাঙালি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মধ্যে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা নিরূপণ
শিখনফল বিষয়বস্তু:
ধর্ম ভাষাও সম্প্রদায় বিচারে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক কেমন তা ব্যাখ্যা করতে পারবে;
বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের সংস্কৃতি সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারবে;
বাংলাদেশের লোক সংস্কৃতি ও এর উপাদান বর্ণনা করতে পারবে;
বাংলাদেশের নৃগুষ্টি সংস্কৃতি জীবন সম্বন্ধে বর্ণনা করতে পারবে;
অ্যাসাইনমেন্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা:
নিচের ধাপ অনুসরণ করে অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে।
- আমাদের প্রচলিত রীতি রেওয়াজ দেখে আমাদের সংস্কৃতির চিহ্নিত করতে হবে
- ধর্ম, ভাষা, সম্প্রদায় বিচারে আমাদের সংস্কৃতির বৈচিত্র ব্যাখ্যা করতে হবে।
- গ্রাম ও শহরের মধ্যে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা ব্যাখ্যা করতে হবে।
- বাঙালি এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক জীবন ধারার মধ্য হতে কমপক্ষে চারটি ভিন্ন তা নির্ধারণ করে প্রমাণ করতে হবে যে এদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা রয়েছে।
খ) সাংস্কৃতিক ভিন্নতা চিহ্নিতকরণ :
ধর্ম, ভাষা, সম্প্রদায় বিচারে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা নিচে তুলে ধরা হলাে :
১.ধর্ম বিচারে সাংস্কৃতিক ভিন্নতাঃ ধর্ম মানুষের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে খুবই বড় ভূমিকা পালন করে এক এক ধর্মের এক এক উৎসব যেমন মুসলমানদের ঈদ উৎসব , হিন্দুদের দুর্গা পুজা , বৌদ্ধদের বৌদ্ধ পূর্ণিমা, খ্রিষ্টানদের বড় দিন ইত্যাদি।
২. ভাষা বিচারে সাংস্কৃতিক ভিন্নতাঃ বাংলাদেশের অধিকাংশ বাংলা ভাষায় কথা বলে । অপরদিকে চাকমা, মারমা, গারাে, খাসিয়া ইত্যাদি ক্ষুদ্র নৃ – জাতিগােষ্ঠীর মানুষদের ভিন্ন ভিন্ন ভাষা রয়েছে। এদেশের মানুষের প্রধান ভাষা বাংলা হলেও এই ভাষার মধ্যে দিনে দিনে অনেক ভাষার মিশ্রণ ঘটেছে। বাংলা ভাষায় খোঁজ করলে পাওয়া যায় অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, সংস্কৃত অনেক বিদেশী ভাষার মিশ্রণ। অনেক বিদেশী ভাষার মিশ্রণ স্কুত ইত্যাদি ইত্যাদি।
৩. সম্প্রদায় বিচারে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র : ধর্ম এবং ভাষার মতাে সম্প্রদায়ের দিক থেকেও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য দেখা যায় বাংলাদেশে। এদেশের ধর্ম সম্প্রদায়গুলাে দর্শনীয় আচার অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রত্যেকের আলাদা সামাজিক জীবন যাপন পদ্ধতি আছে। সামাজিক আচার অনুষ্ঠান পালনে এক এক সম্প্রদায়ের এক এক ধরনের নিয়ককানুন পালনে রয়েছে ভিন্নতা।
গ) গ্রাম ও শহরের সংস্কৃতির উপাদান : গ্রাম ও শহরের মধ্যে ৪ টি সাংস্কৃতিক ভিন্নতা চিহ্নিত করে নিচে ব্যাখ্যা করা হলাে :
১. পেশাগত সাংস্কৃতিক ভিন্নতা : গ্রামের মানুষ নানা ধরনের পেশার সাথে যুক্ত। যে সব পেশাজীবী গ্রামে বাস করে তাদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হচ্ছে কৃষক , জেলে, তাঁতি, কামার । কুমার, মাঝি, দর্জি, কবিরাজ, ডাক্তার ইত্যাদি। অপরদিকে শহরের মানুষ শিক্ষকতা, ডাক্তারি ব্যবসা, শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ইত্যাদি পেশার সাথে যুক্ত আচাডেম্য।
২. পােষাকগত সাংস্কৃতিক ভিন্নতা : একসময় গ্রামের মানুষ সাধারণ পােশাক পরতেন । পুরুষেরা লুঙ্গি পরে থালি গায়ে অথবা গেঞ্জি বা ফতুয়া পরে কৃষি কাজ করেন। মেয়েরা সাধারণত সুতির শাড়ি পরিধান করে। কিশাের ছেলেরা লুঙ্গি – শার্টের পাশাপাশি প্যান্ট শার্ট পরিধান করে। মেয়েরা ফ্রক, সালােয়ার কামিজ আর শাড়ি পড়ে । পক্ষান্তরে শহরের মানুষের মধ্যে পােষাকগত বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। পুরুষেরা প্যান্ট, শার্ট, কোট টি – শার্ট পরিধান করে আর মেয়েরা শাড়ি সালােয়ার কামিজ এবং আধুনিক পােষাক পরিধান করতে স্বাচ্ছন্দবােধ করে।
৩. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগত পার্থক্য ; গ্রামের মানুষেরা বিভিন্ন পালা পার্বন, যাত্রা, লাঠিখেলা, নৌকাবাইচ ইত্যাদি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়ােজন করে থাকে। শহরের মানুষেরা বিভিন্ন পার্টি, বিভিন্ন ধরনের কনসার্ট , সিনেমা দেখা ইত্যাদি মাধ্যমে অবসর সময় পার করে থাকে।
৪। থাদ্যাভাসগত পার্থক্যঃ গ্রামের মানুষ সাধ্যমতাে মাছ ভাত শাকসবজি, ডাল ইত্যাদি থায় । নানা ধরনের পিঠাপুলি তৈরি হয়। গ্রামের অনেক শাকসবজি ফুলিয়ে নিজেদের থাবারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে থাকে। ভাত, মাছ মাংস থেলেও শহুরে মানুষের থাবারে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। শহরের মানুষের অনেকেই ফাস্ট ফুডের দোকানে যায়। তাদের অনেকের কাছে স্যান্ডউইচ, বার্গার ইত্যাদি।
ঘ) বাঙালি সংস্কৃতি ও ক্ষুদ্র নৃগােষ্ঠীর সংস্কৃতির মধ্যে ভিন্নতা নিরূপণ
১। উৎসবগত ভিন্নতা : বাঙালি সংস্কৃতি ঘুদ্র নৃগােষ্ঠীর সংস্কৃতির উৎসবগত ভিন্নতা স রয়েছে । বাঙালি উৎসব গুলাের মধ্যে চৈত্র সংক্রান্তি নববর্ষ পহেলা ফাল্গুন ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য অপরদিকে ক্ষুদ্র নৃগােষ্ঠীর সংস্কৃতির মধ্যে বৈসুক, বিজু, বৈসাবি ইত্যাদি উৎসব অন্যতম।
২। লােকবিশ্বাসগত ভিন্নতা): পূর্বে গ্রাম বাংলার মানুষের মাঝে লােকবিশ্বাস প্রবনতা বেশি থাকলেও বর্তমানে বাঙালি সংস্কৃতিতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় তা দিন দিন উঠে যাচ্ছে । অপরদিকে অন্য সব ক্ষুদ্র নৃগােষ্ঠীর মতাে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগােষ্ঠীর মানুষের মধ্যে নানাধরনের বিশ্বাস কাজ করে ।
৩। পােশাকগত ভিন্নতা : বাঙালি সংস্কৃতিতে বাঙালিরা সাধারণত পুরুষেরা লুঙ্গি, প্যান্ট, গেঞ্জি , মেয়েরা শাড়ি , সেলােয়ার কামিজ ইত্যাদি পরিধান করে । পক্ষান্তরে ক্ষুদ্র নৃগােষ্ঠীর সদস্যরা সিনােন, থামি, ওরাওঁরা ও শার্ট পরিধান করে ।
৪। খাদ্যগত ভিন্নতা : বাঙালি সংস্কৃতিতে যারা যার ধর্ম মতে হালাল থাবার গ্রহণ করে থাকে। পক্ষান্তরে কোনাে কোনাে ক্ষুদ্র নৃগােষ্ঠীর মানুষ বিশ্বাস করে একটি নির্দিষ্ট প্রাণী হচ্ছে তাদের গােত্রের প্রতীক। পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগােষ্ঠীর নাম্বি বা সিদোল অতি প্রিয় | ভাত থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি এক ধরনের পানীয় অধিকাংশ নৃগােষ্ঠীর মানুষের কাছে বিশেষ প্রিয়।
প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট পাওয়ার জন্য kormojog.com এর ফেসবুক পেইজ কর্মযোগ লাইক এবং ফলো করে রাখ।