৮ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহ বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১|Class 8 assignment science ২০২১ সালে ৫ম সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছে ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট । সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, কর্মযোগে সবাইকে স্বাগতম। তোমরা যারা ৮ম শ্রেনীতে পড় তোমাদের সুবিধার জন্য আমরা ৫ম সপ্তাহের ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট এর উত্তর বা সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছি। এই পোস্ট অনুসরণ করে তোমরা ২০২১ সালের ৮ম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের বিজ্ঞান বিষয়ের উত্তর সুন্দরভাবে লিখতে পারবে।
এছাড়াও তোমরা আমাদের সাইটে ৮ম শ্রেনির সকল এ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন তার সমাধান পাবে। পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে আপনার বন্ধু বা প্রিয়জনকে দেখার সুযোগ করে দিও।
৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১
৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট এর উত্তর ২০২১ | Class 8 assignment science
বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে মূল্যায়ন কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে। সে লক্ষ্যে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট পুনর্বহাল এবং ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে।
২০২১ সালের অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান কার্যক্রমে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান ও চারু ও কারুকলা বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারিত রয়েছে।
৮ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ
২০২১ শিক্ষাবর্ষের অষ্টম শ্রেণীর ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান এবং কারুকলা পাঠ্য বই থেকে দুটি নির্ধারিত কাজ প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে যথাযথ মূল্যায়ন এর মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের ৫ম সপ্তাহের বিজ্ঞান এবং চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করবে।
শিক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয় প্রদত্ত সময়ের মধ্যে তাদের ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর প্রশ্নপত্র উল্লেখিত মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুসরণ করে সম্পন্ন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ বিদ্যালয়ে জমা দিবে। প্রত্যেকটি প্রশ্নের মধ্যে অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনা এবং নির্দেশকগুলো উল্লেখ করা আছে।
৮ম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান
৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট এর উত্তর ২০২১ | Class 8 assignment science
অষ্টম শ্রেণীর জন্য কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ২০২১ শিক্ষাবর্ষ শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য প্রকাশিত অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম অধ্যায় থেকে একটি নির্ধারিত কাজ দেয়া আছে। এটি ৮ম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিষয়ের প্রথম নির্ধারিত কাজ।
অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের পুনবিন্যাসকৃত সিলেবাসের আলোকে একটি প্রশ্ন নির্দেশনা অনুযায়ী লিখতে হবে।
প্রশ্ন: ১। প্রথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ বিভিন্ন হয় কেন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: অভিকর্ষ বলের প্রভাবে মুক্তভাবে ভূপৃষ্টে পড়ন্ত কোনো বস্তুর কো বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরন বলে।
মহাকর্ষ সূত্র হতে আমরা জানি কোন বস্তুর প্রতি পৃথিবীর আকর্ষন যত বেশি হবে কোন বৃদ্ধির হার তত বেশি হবে। আর আকর্ষন বৃদ্ধি পায় বস্তুর সাথে পৃথিবীর দূরত্ব যত কম হয়।
যদি অভিকর্ষজ ত্বরন, (g), মহাকষীয় ধ্রুবক (G), পৃথিবীর ভর (M) এবং পৃথিবীর ব্যাসার্ধ (R) হয় তবে মহাকর্ষ সূত্রানুসারে
যেহেতু পৃথিবী সুষম গোলক নয়, কিছুটা কমলা লেবুর মতো অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিন মেরু চাপানো। তাই মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ কম কিন্তু বিষুবীয় অঞ্চলে বেশি। G ও M উভয়টি অপরিবর্তনীয় তাই g এর মান পৃথিবীর ব্যাসার্ধের উপর নির্ভর করে অর্থাৎ ব্যাসার্ধ বেশি হলে g এর মান কমে আর ব্যাসার্ধ কম হলে g এর মান বৃদ্ধি পায়। যেহেতু মেরু অঞ্চলে ব্যাসার্ধ কম তাই সেখানে g এর মান বেশি এবং তা ৯.৮৩ মিটার/সেকেন্ড২ অপরদিকে বিষুবীয় অঞ্চলে ব্যাসার্ধ বেশি হওয়ায় g এর মান কম তা ৯.৭৮ মিটার/সেকেন্ড২।
তাই বলা যায়, পৃথিবীর স্থান ভেদে ব্যাসার্ধের ভিন্নতায় বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরন বিভিন্ন হওয়ার কারন।
প্রশ্ন: ২। পৃথিবীতে তোমার ভর ৫০ কেজি চাঁদে তোমার ওজন কমে যায় কেন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আমরা জানি, পৃথিবীতে অভিকর্ষজ ত্বরন, g এর মান ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড২। যদি পৃথিবীতে আমার ভর ৫০ কেজি হয়, তবে পৃথিবীতে আমার ওজন হবে-
W1 = mg
=৫০´৯.৮ =৪৯০ নিউটন |
W1 = পৃথিবীতে আমার ওজন
m = ৫০ কেজি g = ৯.৮ মি./সে.২ |
আবার আমরা জানি চাঁদ পৃথিবীর তুলনায় ছোট ফরে চাঁদ অভিকর্ষজ ত্বরন কম হয এবং তা পৃথিবীর অভিকর্ষজ ত্বরনের অংশ অর্থাৎ চাঁদ অভিকর্ষজ ত্বরন, g¢=9.8 এর । যেহেতু ভরের কোন পরিবর্তন হবে না তাই চাঁদেও আমরা ভর হবে ৫০ কেজি। এক্ষেত্রে আমার ওজন হবে-
W২ = mg¢
=৫০´১.৬৩ =৮১.৫ নিউটন |
W২ = চাঁদে আমার ওজন
m = ৫০ কেজি g = ৯.৮ এর =১.৬৩ মিটার/সেকেন্ড২ |
চাঁদে আমার ওজন ৪৯০ থেকে কমে ৮১.৫ নিউটন হওয়ার কারন হলো অভিকর্ষজ ত্বরনের ভিন্নতা অর্থাৎ অভিকর্ষজ ত্বরন পৃথিবীর অংশ হওয়া ওজন কমার জন্য দায়ী।
প্রশ্ন: ৩। একটি চকচকে কাচেঁর গ্লাসে কিছু পানি দাও। এবার গ্লাসের মধ্যে একটি পাথর ফেলে দাও। এবার নিচের কাজগুলো কর।
৩(১) গ্লাসের উপর দিয়ে পাথরটিকে সরাসরি দেখার চেষ্টা কর।
৩(১) উত্তর: আলো যখন এক স্বচ্ছ মাধ্যম হতে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে গমন করে তখন আলোর দিক পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে, আর দিক পরিবর্তনের ঘটনাটিকে আলোর প্রতিসরন বলে। উদ্দীপকে উল্লেখিত পানির মধ্যে নিমজ্জিত পাথর হতে আলো যখন বায়ুতে আসে তখন সোজা প্রতিসরিত না হয়ে অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায় অর্থাৎ দিক পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে। ফলে, গ্লাসের উপর দিয়ে সরাসরি পাথরটিকে দেখা চেষ্টা করা হলে পাথরটি স্বস্থানে না দেখে কিছুটা উপরে দেখা যাবে। এর কারন হলো আলোর প্রতিসরন। এক্ষেত্রে প্রতিসরিত রশ্মিকে পিছনের দিকে বর্ধিত করলে পাথরটির একটি অবাস্তব প্রতিবিম্ব তলদেশ থেকে কিছুটা উপরে গঠিত হয়।
প্রশ্ন: ৩। একটি চকচকে কাচেঁর গ্লাসে কিছু পানি দাও। এবার গ্লাসের মধ্যে একটি পাথর ফেলে দাও। এবার নিচের কাজগুলো কর।
৩(২) কিছুটা তির্যকভাবে পাথরটিকে দেখার চেষ্টা কর।
৩(২) উত্তর: আলোর প্রতিসরনের ধর্ম হতে আমরা জানি আলো হালকা মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে প্রবেশ করলে প্রতি সরনের সময় অভিলম্বের দিকে বেকে যায় আর ঘন মাধ্যমে থেকে হালকা মাধ্যমে যাওয়ার সময় আলোক রশ্মি অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়।
তীর্যকভাবে পাথরটিকে দেখার চেষ্টা করলে পাথরটিকে আরও অনেক উপরে পাথরটির একটি অবাস্তব প্রতিবিম্ব দেখা যাবে। এভাবে ক্রমাগত দৃষ্টি তীর্যক করা হলো পাথরটির প্রতিবিম্ব আরও উপরে গঠিত হবে এবং পাথরটি দেখা যাবে।
এক্ষেত্রে প্রতিসরন কোনের মান বৃদ্ধি পায় বা বেশি থাকে তাই তীর্ষকভাবে দেখা হলে পাথরটিকে উপরে দেখা যায় আর ক্রমাগত দৃষ্টি তীর্ষক করা হলে ক্রমাগত প্রতিসরন কোনের মান বৃদ্ধি জনিত কারনে প্রতিবিম্ব উপরে দিকে তৈরি হতে থাকে এবং পাথরটিকে দেখা সম্ভব হয়।
প্রশ্ন: ৩। একটি চকচকে কাচেঁর গ্লাসে কিছু পানি দাও। এবার গ্লাসের মধ্যে একটি পাথর ফেলে দাও। এবার নিচের কাজগুলো কর।
৩(৩) গ্লাসে যে পর্যন্ত পানি আছে তার একটু নিচ থেকে দেখার চেষ্টা কর। তিনটি ক্ষেত্রে কী ঘটছে ও কেন ঘটছে? ব্যাখ্যা কর।
৩(৩) উত্তর: গ্লাসে যে পর্যন্ত পানি আছে তার একটু নিচ থেকে দেখার চেষ্টা করা হলে পাথরটির প্রতিবিম্ব উপরে দিকে আর দেখা যাবে না। এটি পূর্ন অভ্যন্তরীন প্রতিফলনের ফলাফল।
পূর্ন অভ্যন্তরীন প্রতিফলন হলো আলোক রশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে যাওয়ার সময় যদি এমন ভাবে আপতিত হয়, যেখানে প্রতিসরন না হয়ে একই মাধ্যমের অভ্যন্তরে প্রতিফলনের ঘটনা ঘটে।
এক্ষেত্রে আপতন কোনের মান বৃদ্ধি পেয়ে এমন একটি মানে উন্নীত হয় যখন আর প্রতিসরন ঘটা সম্ভব হয় না অর্থাৎ আলো আর চোখে পৌছাতে পারে না। পানির অভ্যন্তরে তার প্রতিফলন ঘটে। তাই গ্লাসে যে পর্যন্ত পানি আছে তার একটি নিচ দিয়ে দেখলে পাথরটির প্রতিবিম্ব বা পাথরটিকে দেখা যাবে না।