সপ্তম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ | ১০ম সপ্তাহ আপনি কি সপ্তম (৭ম) শ্রেণির ১০ম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ সন্ধান করছেন? আপনি সঠিক জায়গায় চলে আসছেন কারণ আমরা এখানে সপ্তম (৭ম) শ্রেণির ১০ম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমস্ত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ও সমাধান প্রকাশ করেছি। আপনি আপনার শ্রেণির সমাধান প্রশ্নগুলিও দেখতে পারেন। আপনি যদি চান আপনার অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর সহজেই দেখতে পাবেন।
সপ্তম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১
তারপরে একটি এসাইনমেন্ট তৈরি করা আপনার পক্ষে সুবিধাজনক হবে। সপ্তম (৭ম) শ্রেণির ১০ম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এসাইনমেন্টের উত্তর আমরা প্রতিটি বিষয়ের জন্য ধাপে ধাপে এখানে আলোচনা করেছি। সুতরাং আপনি এখান থেকে আমাাদের ওয়েব সাইটে kormojog.com আপনার শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের উত্তর সংগ্রহ করতে পারেন। নীচে আপনার উত্তর দেওয়া আছে। সপ্তম শ্রেণি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
আপনি যদি ১০ম সপ্তাহের সপ্তম (৭ম)শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় স্টাডিজ নিয়োগের সন্ধান করছেন, আমরা আপনার জন্য এখানে আছি বিশেষজ্ঞের সহায়তায় আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোত্তম বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় উত্তর সরবরাহ করি। আপনার বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টটি সম্পূর্ণ করতে, আমাদের প্রদত্ত উত্তর আপনাকে আপনার একটি লেখার ক্ষেত্রে অনেক সহায়তা করবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর বিবরণ এবং ভাল মার্ক পাওয়ার জন্য সেরা।
ক্লাস সপ্তম (৭ম) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সম্পর্কিত সকল তথ্য আমাদের এখানে বিস্তারিত আকারে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং আপনি যদি বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট সম্পর্কিত কোন তথ্য জানতে চান, তাহলে আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালভাবে পড়ুন। তাহলে আশা করা যায় ক্লাস সপ্তম (৭ম) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সম্পর্কে সকল তথ্য আপনি আমাদের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন।
যে যেহেতু প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্ট বিদ্যালয় জমা দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে। সুতরাং আমি বলতে পারি যে, ক্লাস সপ্তম (৭ম) এর শিক্ষার্থীদের জন্য এই অ্যাসাইনমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই অ্যাসাইনমেন্ট আপনার বিদ্যালয় জমা দিলেই আপনি পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে পারবেন।
নির্ধারিত কাজ -২
দ্বিতীয় অধ্যায় : বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
পাঠ -১ ; বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ধারণা পাঠ -২ ও ৩ : বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের সংস্কৃতি পাঠ -৪ : বাংলাদেশের লােক সংস্কৃতি ও এর বিভিন্ন উপাদান পাঠ -৫ ; বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগােষ্ঠীর সংস্কৃতি
তােমাদের সামাজিক জীবনে প্রচলিত চারটি লোক সাংস্কৃতির উপাদান চিহ্নিত কর এবং এই উপাদানগুলাে তােমার জীবনে কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা বর্ণনা কর এই নির্ধারিত কাজটি করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলাে বিবেচনায় নিতে হবে
- ১. লােকসংস্কৃতির সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান
- ২. প্রচলিত লােকসংস্কৃতির সঠিক উদাহরণ প্রদান
- ৩. শিক্ষার্থীর নিজ জীবনের উপর প্রতিফলনে ব্যাখ্যা প্রদান
উত্তর:
লােকসংস্কৃতির ধারণাঃ
সাধারণ মানুষ ও তার সমাজের সংস্কৃতি নিয়েই তৈরি হয় লােকসংস্কৃতি। লােকসংস্কৃতিকে অনেকে লােকসমাজে সংস্কৃতি বলে থাকেন। সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ও তাদের চিন্তায় ও কর্মে লােকসংস্কৃতির জন্ম হয়। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের ছড়িয়ে পড়ে এই সংস্কৃতি। বাংলাদেশ লােকসংস্কৃতির সূচনা হয়েছে সেই আদিকাল থেকেই। তবে সুস্পষ্টভাবে বললে লােকসংস্কৃতির যাত্রা শুরু হয়েছে গ্রামীণ কৃষিজীবী সমাজের মধ্য দিয়ে। তবে সময়ের সাথে সাথে লােকসংস্কৃতি একটু একটু করে পরিবর্তন হয়েছে।
লােকসংস্কৃতির উপাদানঃ
যেসব বিষয়ে লােকসংস্কৃতির পরিচয় রয়েছে তাকে লােকসংস্কৃতির উপাদান বলা হয়। এই উপাদান দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমনঃ
ক) বস্তুগত উপাদান ও খ) অবস্তুগত উপাদান।
বস্তুগত উপাদানঃ লােকসংস্কৃতির যেসব উপাদান ধরা যায় হেঁয়া যায় তা হলাে বস্তুগত উপাদান। যেমন – তাঁতশিল্প, কাঁসাশিকু, মৃৎশিল্প, নকশি কাথা, মাহ ধরা ইত্যাদি।
অবস্তুগত উপাদানঃ
লােকসংস্কৃতির যে সকল বিষয় ধরা বা হেঁয়া যায় না অর্থাৎ মানুষের চিন্তা থেকে জন্ম নেয় এবং মুখে মুখে হড়িয়ে পড়ে তাকে লােকসংস্কৃতির অবস্তুগত উপাদান বলা হয়। সাহিত্য বস্তুগত উপাদানের প্রধান বিষয়। অবস্তুগত উপাদানের মধ্যে আরও রয়েহে লােকগীতি, খনার বচন, হভা, প্রবাদ-প্রবচন ইত্যাদি।
প্রচলিত লােকসংস্কৃতির উদাহরণঃ
আমাদের দেশে বৃহৎ একটি প্রচলিত লােকসংস্কৃতিকে এখনাে অাঁকড়ে ধরে আছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম লােকসংস্কৃতি বিস্তার লাভ করেছে। আবার কিছু কিছু লােকসংস্কৃতি সময়ের কালের স্রোতে হারিয়ে গেছে। নিচে প্রচলিত লােকসংস্কৃতির কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলঃ
১. লােকসংস্কৃতির বস্তুগত উপাদান এর বড় একটি অংশ হলাে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। গায়ে হলুদ আমাদের সংস্কৃতির বড় একটি অংশজুড়ে রয়েছে। গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের আচার-আচরণ ও সংস্কার পালন করা হয়।
২. বৃষ্টির জন্য অনুষ্ঠান করা লােকসংস্কৃতির অবস্তুগত উপাদান বা বিশ্বাস। দীর্ঘদিনের খরা থেকে মুক্তি লাভের জন্য বৃষ্টিকে আহবান করার নিমিত্তে পালন করা হয় এই অনুষ্ঠান। বৃষ্টি নামার জন্য গ্রামের মেয়েরা খােলা নিয়ে বাড়ি বাড়ি যায় এবং মুখে বৃষ্টির গান বা হভা কাটে। এরপর বাড়ির মেয়েরা খােলার উপর পানি ঢেলে দেয়। তারা বিশ্বাস করে এভাবেই আকাশ থেকে বৃষ্টি নামবে। এভাবে বৃষ্টিকে আহবান করার মুল কারণ হলাে খরা থেকে কৃষকদের মুক্তি।
৩. বাংলাদেশের লােকসংস্কৃতির অন্যতম একটি উপাদান হলাে নকশী কাঁথা। বর্তমানে বাংলাদেশে নকশী কাথার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েহে শুধু তাই নয় বিদেশেও রয়েছে প্রচুর চাহিদা। নকশী কাথার বাহারি ও নজর করা নকশা সকলের মনকে আকর্ষিত করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে যশাের ও জামালপুর গ্রামে ঘরে ঘরে তৈরি হয় নকশি কঁাথা।।
৪.লােকসংস্কৃতির যে উপাদানটি শহর এবং গ্রামে সমানভাবে বেশ প্রচলিত তা হল মেলা। বাংলাদেশের সর্বত্রই মেলা প্রচলন দেখা যায়। বিশেষ করে বৈশাখী মেলা শহরে বিশেষ একটি স্থান দখল করে রয়েছে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় অসংখ্য দোকানপাট। যেখানে পাওয়া যায় লােকসংস্কৃতির অনেক অংশ। যেমন নকশি কাঁথা, মাটির তৈরি জিনিস, বাচ্চাদের পুতুল ও খেলনা, নাগরদোলা, বাইস্কোপ, পুতুল নাচ, যাত্রা ইত্যাদি।
আমাদের জীবনে লােকসংস্কৃতির প্রভাবঃ
আমাদের জীবনে সংস্কৃতির প্রভাব অনেকটাই চােখে পড়ার মতাে। বিশেষ করে লােকসংস্কৃতির উপাদানগুলাে আমাদের জীবনকে অনেকটাই প্রভাবিত করে। যেমনঃ হলুদের অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ করে সকলের মাঝে একটি বন্ধন সৃষ্টি হয়, ভাবের আদান-প্রদান হয়। যা আমদের জীবনে প্রভাবিত করে।
তাছাড়া হলুদের অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত জিনিসপত্র যেমনঃ ভলা, কুলা, ফুল, বিভিন্ন ধরণের চারুকাজ আমাদের সংস্কৃতের ঐতিহ্যকে বহন করে। লােকসংস্কৃতির মেলা বিশেষ করে গ্রামীণ মেলা আমাদের জীবনে প্রশান্তি বয়ে আনে। বৈশাখী মেলায় বাহারি সব জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানীরা।
মেলায় উৎসবের আমেজকে বহুগুনে বৃদ্ধি করে হস্তশিল্পের বিভিন্ন মাটির জিনিস। মেলায় স্থান পায় যাত্রাপালা। প্রাচীন ঐতিহ্যের মধ্যে শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত যে শিল্পটি সমানভাবে তার গুরুত্ব বহন করছে তা হল নকশীকাথ। শুধু দেশেই নয় বরং বিদেশেও নকশীকাথার চাহিদা রয়েছে। যা আমাদের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। লােকসংস্কৃতির প্রবাদ-প্রচন, খনার বচন আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। এসব প্রবাদ এততাই শ্রুতিমধুর যে তা এখন আমাদের পাঠ্যবইয়ে স্থান দখল করেছে।
প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট পাওয়ার জন্য kormojog.com এর ফেসবুক পেইজ কর্মযোগ লাইক এবং ফলো করে রাখ।