বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রগুলোতে সাধারণ মানুষের প্রবেশের ওজনসীমা দেওয়ার কারণ কী?

বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রগুলোতে সাধারণ মানুষের প্রবেশের ওজনসীমা দেওয়ার কারণ কী?বিদ্যুৎকেন্দ্র তে এমন কিছু তার আছে যেইগুলোতে লক্ষ লক্ষ ভোল্টেজ বিদ্যুত প্রবাহিত হয়।

আর যখন ঐগুলোর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ যায় তখন ঐ তারের নিচ দিয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরী হয়,যেটা২০-২৫ ফিট দূর থেকেও মানুষকে আকর্ষন করে কাছে টেনে নেয়। খুব সম্ভবত এজন্যই কম ওজনসম্পন্ন লোকদের ভেতরে প্রবেশ নিষেধ।বিদ্যুৎ চলাচল করলে তারে চৌম্বকত্বের সৃষ্টি হয়।
যেটাকে কাজে লাগিয়ে মোটরের/জেনারেটর আবিষ্কার এবং সাধারণত এই সব অঞ্চলে হাই-ভোল্টেজ কারেন্টের প্রবাহ থাকে। যার কারণে তাড়িৎ চৌম্বকত্ব অনেক হয়। তাই কম ওজনের কোন প্রানী গেলে সেটাকে আকর্ষণ করে টেনে নিতে পারে। এই জন্য সাবধান করা। Substation এর সর্বত্র Electromagnetic Field আছে।

বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রগুলোতে সাধারণ মানুষের প্রবেশের ওজনসীমা

আর তাহা উচ্চ ভোল্টেজের ক্ষেত্রে এতোই তীব্র যে পাওয়ার ট্রান্সমিশনের জন্য যে ক্যাবলসমূহ ব্যবহার করা হয় তা magnet field এর ন্যায় আচরণ করে। কোনো কম ভরের ব্যক্তি যদি সেখানে প্রবেশ করে, তবে তিনি চৌম্বক ক্ষেত্র কর্তৃক আকর্ষিত হতে পারে যার ফলে ব্যক্তির বৈদ্যুতিক শকে প্রাণনাশের আশংকা থাকে।
ঐখানে এত পরিমানে বিদ্যুৎ আকর্ষণ আছে যে , তার আসেপাশে বিদ্যুৎ পরিবাহী ব্যাক্তি বা বস্তু যদি ৫০ কেজির কম হলে টেনে নিয়ে কাছে নিয়ে বিদ্যুৎ আলিঙ্গন করবে এবং পুড়িয়ে ফেলবে । আর আপনি ৫০ কেজির বেশি হলে টানতে পারবে না কিন্তু ঐ আকর্ষনের প্রভাব বুঝতে পারবেন।

About Karmojog

Check Also

এসএসসির সংশোধিত রুটিন প্রকাশ ১৭ দিনে শেষ হবে পরীক্ষা

এসএসসির সংশোধিত রুটিন প্রকাশ : ১৭ দিনে শেষ হবে পরীক্ষা

এসএসসির সংশোধিত রুটিন প্রকাশ : ১৭ দিনে শেষ হবে পরীক্ষা বন্যার কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *