প্রকৃতি ও প্রত্যয় মনে রাখার কৌশল

প্রকৃতি ও প্রত্যয় মনে রাখার কৌশল বাংলা ব্যাকরণ এ প্রকৃতি ও প্রত্যয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ব্যাংক জব, বিসিএস পরীক্ষা সহ বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে প্রকৃতি এবং প্রত্যয় থেকে একটি প্রশ্ন থাকে। আবার অনেকেই প্রকৃতি, প্রত্যয় ভালো পারে না। অনেকেই প্রশ্ন করেন প্রকৃতি, প্রত্যয় শেখার সহজ উপায় কি। তাই আজ আমরা প্রকৃতি-প্রত্যয় নির্ণয় করার জন্য কিছু শর্ট টেকনিক বা সূত্র আলোচনা করব। অর্থাৎ প্রকৃতি ও প্রত্যয় মনে রাখার কৌশল সম্পর্কে জানব। যার মাধ্যমে খুব সহজে আপনারা প্রকৃতি, প্রত্যয় নির্ণয় করতে পারবেন।

শর্ট টেকনিক বা সূত্র জানার আগে আমাদের প্রকৃতি ও প্রত্যয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা প্রয়োজন। তাই প্রথমে আমরা প্রকৃতি এবং প্রত্যয় সম্পর্কে জানব। চলুন জেনে আসি, প্রকৃতি কাকে বলে ও প্রত্যয় কাকে বলে?

প্রকৃতি: প্রকৃতি হল শব্দের ক্ষুদ্রতম একক। অর্থাৎ শব্দের মূলকেই প্রকৃতি বলে। সুতরাং নামবাচক শব্দ বা ক্রিয়াবাচক শব্দের মূলকে প্রকৃতি বলে।

প্রত্যয়: প্রকৃতির পরে যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যোগে নতুন শব্দ গঠিত হয় সেই বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টিকে প্রত্যয় বলে।

যেমন- শীত + ল = শীতল, চল্+ অন্ত = চলন্ত।

এখানে শীত ও চল্ দুটি প্রকৃতি এবং ল ও অন্ত দুটি  প্রত্যয় আর শীতল ও চলন্ত দুটি প্রত্যয়ান্ত শব্দ।

শ্রেণিবিভাগ:

প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা- (১) নাম প্রকৃতি ও (২) ক্রিয়া প্রকৃতি।

নাম প্রকৃতি:- নামবাচক শব্দের মূলকে নাম প্রকৃতি।

ক্রিয়া প্রকৃতি:- ক্রিয়াবাচক শব্দের মূলকে ক্রিয়া প্রকৃতি বলে।

প্রকৃতি ও প্রত্যয় মনে রাখার কৌশল

প্রত্যয়ও দুই প্রকার, যথা–

✔️ তদ্ধিত প্রত্যয়: নাম প্রকৃতির পরে যে প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। প্রত্যয় চিনতে হয় প্রকৃতি দেখে। প্রকৃতি যদি নাম প্রকৃতি হয় তবে প্রত্যয়টি সাধারণত তদ্ধিত প্রত্যয় হবে। যেমন- উপরে ‘শীতল’ শব্দের প্রকৃতি ‘শীত’ একটি নামবাচক শব্দ তাই ‘ল’ তদ্ধিত প্রত্যয়।

✔️ কৃৎ প্রত্যয়: ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে। যেমন- উপরের ‘চলন্ত’ শব্দে ‘অন্ত’ একটি কৃৎ প্রত্যয়। কারণ ‘চল্’ ক্রিয়া প্রকৃতি।

উপধা : নাম প্রকৃতি বা ক্রিয়া প্রকৃতির অন্ত্য ধ্বনির আগের ধ্বনিকে উপধা বলে। যেমন- পঠ্ = প+অ+ ঠ্।

ইৎ : প্রত্যয়ান্ত শব্দে প্রত্যয়ের যে অংশ লোপ পায় তাকে ইৎ বলে। যেমন- সাহিত্য + ষ্ণিক = সাহিত্যিক। এখানে ‘ষ্ণ’ একটি ইৎ।

অপশ্রুতি : প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতু বা শব্দের মধ্যে কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বরগত অল্প-বিস্তর পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনকে অপশ্রুতি বলে। অপশ্রুতি তিনভাবে প্রকাশ পায়। যথা- গুণ, বৃদ্ধি, সম্প্রসারণ।

সম্প্রসারণ : এই প্রক্রিয়ায় ব > উ-তে পরিণত হয়।

যেমন- √বচ্ +ক্ত = উক্ত। য > ই-তে পরিণত হয়।

যেমন- যজ্ + তি = ইষ্টি।

র > ঋ-তে পরিণ হয়।

যেমন- গৃহ্ + ত = গৃহীত।

গুণ ও বৃদ্ধি : কোনো কোনো ক্ষেত্রে (কৃৎ) প্রত্যয় যোগ করলে (ক্রিয়া) প্রকৃতির আদিস্বর পরিবর্তিত হয় তাকে গুণ ও বৃদ্ধি বলে।

গুণ:

কী পরিবর্তন হবে পরিবর্তিত হয়ে কী হবে উদাহরণ
ই, ঈ √চিন্ + আ = চেনা (ই স্থলে এ হলো); √নী + আ = নেওয়া (ঈ স্থলে এ)
উ, ঊ √ধু + আ = ধোয়া (উ স্থলে ও)
অর্‌ কৃ + তা = কর্তা (ঋ স্থলে অর্‌)

বৃদ্ধি:

কী পরিবর্তন হবে পরিবর্তিত হয়ে কী হবে উদাহরণ
পচ্ + অ (ণ ক) = পাচক (পচ-এর অস্থলে ‘আ’)
ই ও ঈ শিশু + (অ) ষ্ণ = শৈশব (ই স্থলে ঐ)
উ ও ঊ যুব + অন = যৌবন (উ স্থলে ঔ)
আর্‌ কৃ + ঘ্যণ = কার্য (ঋ স্থলে আর্‌)
প্রকৃতি ও প্রত্যয়

ক্রিয়া প্রকৃতির আর এক নাম ধাতু আর নাম প্রকৃতির অপর নাম প্রতিপদিক।

প্রকৃতি ও প্রত্যয়

প্রকৃতি ও প্রত্যয় ব্যাকরণের শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।

বাংলা কৃৎ প্রত্যয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য-

✔️ ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে ‘আই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন- চড়্ + আই = চড়াই।

✔️ আরী-কর্মে দক্ষ অর্থে- √পূজ্ + আরী = পূজারী। উরি-কর্মে দক্ষ অর্থে- ডুব্ + উরি = ডুবুরি।

✔️ করতে অভ্যস্ত অর্থে ‘উক’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন- √মিশ্ + উক = মিশুক, ভাব্ + উক = ভাবুক।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাংলা ‘কৃৎ’ প্রত্যয় সাধিত শব্দ:

√কাঁদ্ + অ = কাঁদ

√দুল্ + অনা = দোলনা

√মুড়্ + অক = মোড়ক

√রাঁধ্ + না = রান্না

√কাঁদ + না = কান্না।

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

প্রত্যয় নির্ণয় করতে হয় শব্দের দুটি বর্ণে প্রথম বর্ণে আর শেষ বর্ণে। প্রথম বর্ণে সূত্র অনুযায়ী এবং শেষ বর্ণে প্রত্যয় অনুযায়ী।

প্রকৃতি ও প্রত্যয় মনে রাখার কৌশল

সংস্কৃত প্রত্যয়ের সূত্র হলো

০১. অন = অনট্, নয়ন = নে + অন (সন্ধি সূত্রে)

দর্শন = √দৃশ্ + অনট্ = √নী + অনট্,

ভোজন = √ভুজ + অনট্, স্থান = √স্থা + অনট্।

শ্রবণ = শ্র + অন[এখানে ব = ও + অ] = √শ্রু + অনট্।

ব্যতিক্রম:

নন্দন = নন্দি + অন।

০২. তব্য / অনীয় থাকলে কোনো পরিবর্তন হবে না। যেমন–

স্মর্তব্য = √স্মৃ + তব্য, দাতব্য = √দা + তব্য, কর্তব্য =√কৃ + তব্য, শ্রবণীয় = √শ্রু + অনীয়, দর্শনীয় = √দৃশ্ + অনীয়।

০৩. তা / ধা = তৃচ্

নেতা =√নী + তৃচ্, যোদ্ধা = √যুধ্ + তৃচ্ , মাতা = √মা + তৃচ্, অভিনেতা = অভি + √নী + তৃচ্ , ক্রেতা = √ক্রী + তৃচ্

০৪. মান = শানচ্

বর্তমান = √বৃৎ + শানচ্ , দীপ্যমান = √দীপ্ + শানচ্, বর্ধমান = √বৃধ্ + শানচ্

০৫. অয় = অল্ / অচ্ (প্রথম বর্ণে ই / ঈ–কার যুক্ত হয়)।

জয় = √জি + অল্, ক্ষয় = √ক্ষি + অল্ , ভয় = √ভী + অল্, অভিনয় = অভি + √নি + অল্, বিনয় = বি + √নি + অল্

০৬. ইত / ত = ক্ত এবং তি = ক্তি

জ্ঞাত = √জ্ঞা + ক্ত, উক্তি = √বচ্ + ক্তি, খ্যাত = √খ্যা + ক্ত, শান্তি = √শম্ + ক্তি, লিখিত = √লিখ্ + ক্ত, গীতি = √গৈ + ক্তি

সিক্ত + √সিচ্ + ক্ত (ক = চ), মুক্তি =√মুচ্ + ক্তি, উক্ত = √মুচ্ + ক্ত, উপ্ত = √বপ্ + ক্ত

০৭. অক = ণক্

নায়ক = √নী + ণক, লেখক = √লিখ্ + ণক,        কারক = √কৃ + ণক, পূজক = √পূঁজি + ণক, গায়ক = √গৈ + ণক,

পাচক = √পচ্ + ণক

গুরুত্বপূর্ণ আরো কিছু কৃৎ–প্রত্যয় নিষ্পন্ন শব্দ–

ভাস্কর = √ভাস্ + বর, হিংস্র = √হিন্-ম্ + র, ঈশ্বর = √ঈশ্ + বর, জাগরুক = √জাগৃ + উক,   নশ্বর = √নশ্ + বর,

ত্যাগ = √ত্যাজ্ + ঘঞ, শোক = √শুচ্ + ঘঞ, পাক = √পচ্ + ঘঞ।

নিপাতনে সিদ্ধ কৃৎ প্রত্যয় : ছন্দ : গীতিকার বুদ্ধি ও     শক্তি দিয়ে সিদ্ধি লাভ করল।

গীতি =  √গৈ + ক্তি, বুদ্ধি = √বুধ্ + ক্তি, শক্তি = √শক্+ক্তি, সিদ্ধি = √সিধ্ + ক্তি

সঠিক প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয়: কৃৎ প্রত্যয়

শব্দ প্রকৃতি ও প্রত্যয়
অগ্রণী = √অগ্র+নি
অধ্যয়ন = অধি + ই + অন
ইন্দ্রজিত = √ইন্দ্র+জি+দ্বিপ
উপ্ত = বপ্ + ত
কৃপণ = কৃপ্ + অন
দিব্য = দিব্ + য
দৃশ্য = দৃশ্ + য
পূজনীয় = পূজ + অনীয়
বিজ্ঞান = বি + জ্ঞা + অন
বর্ষণ = √বৃষ+অন
মুক্ত = মুচ্ + ক্ত
মুক্তি = √মুচ্+ক্তি
মুগ্ধ = মুহ্ + ক্ত
লবণ = লো + অন

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় :

বিভক্তিহীন নামশব্দকে প্রাতিপদিক বলে।

মনে রাখতেই হবে-

অবজ্ঞার্থে ‘আ’ প্রত্যয়- চোর + আ = চোরা, কেষ্ট + আ= কেষ্টা

বৃহদার্থে ‘আ’ প্রত্যয়- ডিঙি + আ = ডিঙা

সদৃশ অর্থে ‘আ’প্রত্যয়- হাত + আ = হাতা

ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে ‘আই’ প্রত্যয়- বড় + আই = বড়াই

আদর অর্থে ‘আই’ প্রত্যয়- নিম + আই = নিমাই

জাত অর্থে ‘আই’ প্রত্যয়- ঢাকা + আই = ঢাকাই।

‘আমি’প্রত্যয়:

ভাবার্থে- ইতর + আমি = ইতরামি, চোর + আমি = চোরামি।

ই / ঈ – প্রত্যয়:

ভাব অর্থে- উমেদার + ই = উমেদারি

বৃত্তি / ব্যবসায়- মোক্তার + ঈ = মোক্তারী

জাত অর্থে- রেশম + ঈ = রেশমী।

সম্বন্ধ অর্থে- সরকার + ঈ = সরকারী।

ইয়া > এ প্রত্যয়:

নৈপুণ্য বুঝাতে- খুন + ইয়া = খুনিয়া > খুনে

না + ইয়া= নাইয়া > নেয়ে।

উয়া > ও প্রত্যয়:

মুক্ত অর্থে- টাক + উয়া = টাকুয়া > টেকো

উপজীবিকা অর্থে- মাছ + উয়া = মাছুয়া > মেছো

উড়– প্রত্যয়: অর্থহীন ভাবে- লেজ + উড় = লেজুড়।

আর : উপজীবিকা / বৃত্তি অর্থে- চাম + আর = চামার। এভাবে কামার।

আল : আদিবাসী / জাতি অর্থে- চণ্ড + আল = চন্ডাল।

সিয়া : সিয়া > সে > চে- সাদৃশ্য / ক্ষুদ্রার্থে- লাল +     সিয়া = লালসিয়া > লালসে > লালচে।

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় তদ্ধিত প্রত্যয় নির্ণয়ের সূত্র:

মূল —- বৃদ্ধি

অ —- আ

ই/ঈ —- ঐ

উ/ঊ —- ঔ

ঋ —- আর

[বিঃদ্রঃ– শব্দের প্রথমে বৃদ্ধির কোনোটি থাকলে সেটি মূলে পরিণত হবে। যেমন- আ থাকলে ‘অ’ হবে ‘ঐ’ থাকলে ‘ই/ঈ’ হবে। তবে ই/ঈ থাকলে ‘ঐ’ হবে না।]

০১. য/ঽ–ফলা = ষ্ণ্য : কৌমার্য = কুমার + ষ্ণ্য, গাম্ভীর্য = গম্ভীর + ষ্ণ্য, মাধুর্য = মধুর + ষ্ণ্য,         ধৈর্য = ধীর + ষ্ণ্য, পার্বত্য = পর্বত + ষ্ণ্য।

০২. ই = ষ্ণি : মাধুরি = মধুর + ষ্ণি, রাবণি = রাবণ + ষ্ণি, দাশরথি = দশরথ + ষ্ণি

০৩. ইক = ষ্ণিক : শারীরিক = শরীর + ষ্ণিক, বার্ষিক = বর্ষ + ষ্ণিক, ভৌগোলিক = ভূগোল + ষ্ণিক, হৈমন্তিক = হেমন্ত + ষ্ণিক

০৪. অ + ষ্ণ : গৌরব = গুরু + ষ্ণ, মানব = মনু + ষ্ণ, বান্ধব = বন্ধু + ষ্ণ, বৈষ্ণব = বিষ্ণু + ষ্ণ, জৈন = জিন + ষ্ণ, পার্থিব = পৃথিবী + ষ্ণ

চৈত্র = চিত্র + ষ্ণ।

০৫. বী = বিন : মেধাবী = মেধা + বিন, তপস্বী = তপঃ + বিন, তেজস্বী = তেজঃ + বিন, যশস্বী = যশঃ + বিন।

০৬. ইমা = ইমন : নীলিমা = নীল = ইমন, লালিমা = লাল + ইমন, মহিমা = মহৎ + ইমন, দ্রাঘিমা = দীর্ঘ + ইমন

ব্যতিক্রম: প্রেম = প্রিয় + ইমন।

প্রকৃতি ও প্রত্যয় মনে রাখার কৌশল

০৭. তা / ত্ব পরিবর্তন হবে না : মধুরতা = মধুর + তা, শত্রুতা = শত্রু + তা, মহত্ব = মহৎ + ত্ব, বন্ধুত্ব = বন্ধু + ত্ব

০৮. ঈন = নীন : সর্বজনীন = সর্বজন + নীন, কুলীন = কুল + নীন

 

০৯. মান = মতুপ্ আর বান = বতুপ্

গুণবান = গুণ + বতুপ্, শ্রীমান = শ্রী + মতুপ্, বুদ্ধিমান = বুদ্ধি + মতুপ্, রূপবান = রূপ + বতুপ্

নিপাতনে সিদ্ধ: সৌর = সূর্য + ষ্ণ।

অপত্যার্থে– মনু + ষ্ণ = মনুষ্য।

বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়

হিন্দি– আলা আন আনি পনা সে

ফারসি– বাজি কর (গর) দার বন্দি করে সই কর।

কলমবাজ, গলাবাজি, ধোকাবাজ-প্রভৃতি শব্দে দক্ষ অর্থে বাজ-প্রত্যয়টি যুক্ত হয়েছে।

নামসই, টিপসই-এখানে ‘সই’ প্রত্যয় নয়, স্বাক্ষর অর্থে কিন্তু, মানানসই, টেকসই, চলনসই ইত্যাদি প্রত্যয় যুক্ত শব্দ।

 

সঠিক প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয়: তদ্ধিত প্রত্যয়

শব্দ প্রকৃতি ও প্রত্যয়
আভিজাত্য = অভিজাত + য
ইতরামি = ইতর + আমি
ঐতিহাসিক = ইতিহাস + ষ্ণিক (ইক)
কাব্য = কবি + য
গরিমা = গুরু + ইমন্
জলীয় = জল + ঈয়
তাত্ত্বিক = তত্ত্ব + ষ্ণিক
দার্শনিক = দর্শন + ষ্ণিক
দৈত্য = দিতি + ষ্ণ
দৈন্য = দিন + য
দ্রাঘিমা = দ্রাঘি + ইমন + আ
নোনতা = নুন + তা
পানসে = পানি + সা = পানসা ˃ পানসে
বৈচিত্র্য = বিচিত্র + য
মিথ্যুক = মিথ্যা+উক
মহিমা = মহৎ + ইমন
শিক্ষক = শিক্ষা + অক
শৈল্পিক = শিল্প + ইক
সাপ্তাহিক = সপ্তাহ + ষ্ণিক (ইক)
সামাজিক = সমাজ + ষ্ণিক
সাহিত্য = সাহিত + য
সাহিত্যিক = সাহিত্য + ষ্ণিক (ইক)
সৌর = সূর্য + ষ্ণ
সত্তা = সৎ + আ
স্থাপত্য = স্থপতি+য
সূর্য = সৃ + য

সঠিক প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয়: বাংলা কৃৎ প্রত্যয়

শব্দ প্রকৃতি ও প্রত্যয়
আঁটুনি = আট্ + উনি
কান্না = কাঁদ্ + না
খাটানি˃খাটুনি = √খাট + আনি
দোলক = √দুল + অক
দোলাও˃দুলাও = √দুল্ + আও
নাটক = √নাট + অক
বৈঠক = √বৈঠ + অক
ভাবুক = ভাব্ + উক
মিশুক = মিশ্ + উক
মোড়ক = মুড়্ + অক
রাঁধনা˃রান্না = √রাঁধ + না
সাজোয়া = সাজ্ + উয়া

সঠিক প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয়: বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

শব্দ প্রকৃতি ও প্রত্যয়
একহারা = এক + হারা
কানাই = কান + আই
চাকরি = চাকর + ই
ধ্রুপদী = ধ্রুপদ + ঈ
নিমাই = নিম + আই
ভাড়াটিয়া ˃ ভাড়াটে = ভাড়া + টিয়া
মাঠুয়া ˃ মেঠো = মাঠ + উয়া
সাফাই = সাফ + আই
সতীন = সতী + ন

সঠিক প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয়: বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়

শব্দ প্রকৃতি ও প্রত্যয়
ওসিয়তনামা = ওসিয়ত + নামা
চালবাজ = চাল + বাজ

সঠিক প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয়: সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

শব্দ প্রকৃতি ও প্রত্যয়
অধিকারী = অধি + √কৃ + ইন
অধ্যায় = অধি + √ই + অ
অনুজ = অনু + জন্ + অ
অনুষ্ঠান = অনু + √স্থা + অন
অপরাধী = অপ + √রাধ্‌ + ইন
অভিজ্ঞ = অভি + √জ্ঞা + অ
অর্চনা = √অর্চ্‌ + অন + আ
অরুন্তুদ = অরুস +√তুদ্‌ +অ
আদেশ = আ + √দিশ্‌ + অ
আদর = আ + √দৃ + অ
আদর্শ = আ + √দৃশ্‌ + অ
উক্তি = √বচ্ + ক্তি
কারক = √কৃ + ণক
কার্য = কৃ + য
কীর্তি = √কৃৎ + ক্তি
কৃতঘ্ন = কৃত + √হন্‌ + অ
করণ = √কৃ + অনট
কর্তা = √কৃ + তৃচ
কর্তব্য = √কৃ + তব্য
কর্ম = কৃ + মন
কর্ষণ = কৃষ + অন
ক্রয় = √ক্রী + অল
ক্লান্ত = √ক্লম + ক্ত
ক্লিষ্ট = ক্লিশ্ + ত
কৃষক = কৃষ্ + ণক
কৃষ্টি = √কৃষ + ক্তি
ক্ষয়িষ্ণু = √ক্ষি + ইষ্ণু
খ্যাতি = খ্যা + তি
গায়ক = গৈ + অক
গতি = গম্+ তি
গন্তব্য = √গম + তব্য
গমন = √গম + অনট
গ্রাহ্য = √গ্রহ্ + যৎ
চিত্রকর = চিত্র্‌ + √কৃ + অ
চরিত্র = √চর্‌ + ইত্র
জাগ্রৎ = √জাগ্ + শতৃ
জ্ঞাত = √জ্ঞান + ক্ত
যোগ্য = √যুজ + যৎ
ণিজন্ত = ণিচ্ + অন্ত
ত্যাগী = √ত্যজ্‌ + ইন
তৃষা = √তৃষ্‌ + অ + আ
দাতব্য = √দান + তব্য
দ্রবণ = দ্রু + অন
দুর্লভ = দুর + √লভ্‌ + অ
দর্শন = √দৃশ + অনট
দ্রষ্টব্য = √দৃশ + তব্য
দৃশ্যমান = দৃশ্ + মান
ধারণা = √ধৃ + ই + অন + আ
ধনঞ্জয় = ধন + জি + অ
নায়ক = √নী + অক
পঙ্কজ = পঙ্ক + √জন্ + অ
পাচক = √পচ + ণক
পাঠ্য = √পঠ + যৎ
পিতা = পা + তৃচ
পণ্ডিতম্মন্য = পণ্ডিত + মন + অ
পদ্য = √পদ্ + যৎ
প্রাজ্ঞ = প্র + √জ্ঞা + অ
পরিচ্ছদ = পরি + √ছদ্‌ + অ
পরিশ্রমী = পরি + √শ্রম্‌ + ইন
প্রচ্ছদ = প্র + √ছদ্‌ + অ
প্রজ্ঞা = প্র + √জ্ঞা + অ + আ
প্রতিযোগী = প্রতি + √যুজ্‌ + ইন
প্রশংসা = প্র + √শন্‌স্ + অ + আ
বক্তব্য = √বচ + তব্য
বিজ্ঞ = বি + √জ্ঞা + অ
বিশ্ব = বিশ্ব + √ভৃ + অ
বিস্তার = বি + √স্তৃ + অ
বিস্ময় = বি + √স্মি + অ
বুদ্ধি = বুধ + তি
বরণীয় = √বৃ + অনীয়
বর্তমান = √বৃৎ + শানচ
ভাস্বর = √ভাস্ + বর
ভয় = √ভী + অ
ভয়ংকর = ভয়ম্ + √কৃ + অ
ভবিষ্যৎ = √ভূ + স্যৎ
ভ্রমণ = √ভ্র + অনট
মাতা = √মা + তৃচ
মাননীয় = √মান্ + অনীয়
মৃত্যুঞ্জয় = মৃত্যু + √জি + অ
মন্ত্রী = √মন্ত্র + নিন
ম্রিয়মাণ = √মৃ + মান
লক্ষ্য = √লক্ষ + ণ্যৎ
লেখক = লিখ্ + ণক
শােক = √শুচ্ + অ
শােভা = √শুভ্‌ + অ + আ
শান্তি = √শম + ক্তি
শিক্ষা = √শিক্ষ্‌ + অ + আ
শোচনীয় = √শুচ + অনীয়
শ্বাস = √শ্বস্‌ + অ
শুভংকর = শুভ্‌ম্‌ + √কৃ + অ
শ্রাবক = √শ্রু + অক
শ্রদ্ধা = শ্ৰৎ + √ধা + অ + আ
শ্রবণীয় = √শ্রু + অনীয়
শ্রমী = √শ্রম্ + ইন
শ্লেষ = √শ্লিষ্‌ + অ
সংগঠন = সম্ + √গঠ্‌ + অন
সেবা = √সেব্‌ + অ + আ
সঞ্চয় = সম্ + √চি + অ
সত্যবাদী = সত্য + √বদ্‌ + ইন
স্তব = √স্তু + অ
সূত্রধার = সূত্র + √ধৃ + অ
স্থায়ী = √স্থা + ইন
স্নেহ = √স্নিহ্‌ + অ
সন্ধি = সম্ + √ধা + ই
স্বয়ংবর = স্বয়ং + √বৃ + অ
সভাসদ = সভা + √সদ্‌ + ০
সম্পাদক = সম্ + √পাদি + অক
সম্রাট = সম + রাজ্‌ + ০
স্মরণ = স্মৃ + অনট্
স্মরণীয় = √স্মৃ + অনীয়
সুলভ = সু + √লভ্‌ + অ
সৃষ্টি = √সৃজ + ক্তি
সুস্থ = সু + √স্থা + অ
হিংসা = √হিনস্+অ+আ
হত্যা = হন্ + য

সঠিক প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয়: সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

শব্দ প্রকৃতি ও প্রত্যয়
অধস্তন = অধস্‌ + তন
আকস্মিক = অকস্মাৎ + ষ্ণিক
আগ্নেয় = অগ্নি + ষ্ণেয়
আধ্যাত্মিক = অধ্যাত্ম + ই
কালিমা = কাল + ইমন
কিঞ্চিত = কিম + চিত
কৈশোর = কিশোর + ষ্ণ
কৌমার্য = কুমার + ষ্ণ্য
গাম্ভীর্য = গম্ভীর + ষ্ণ
গুণবান = গুণ + বতুপ
চাক্ষুস = চক্ষু + ষ্ণ
চন্দ্রিমা = চন্দ্র + ইমন
জ্ঞানী = জ্ঞান + ইন্
যৌবন = যুবন + ষ্ণ
তাৎক্ষণিক = তৎক্ষণাৎ+ইক
তেজস্বী = তেজস্ + বিন
দ্বৈপায়ন = দ্বীপ + আয়ন
ধার্মিক = ধর্ম + ষ্ণিক
নৈসর্গিক = নিসর্গ + ইক
পার্থিব = পৃথিবী + ষ্ণ
পিতৃব্য = পিতৃ + বৎ
পৌত্র = পুত্র + ষ্ণ
প্রামাণ্য = প্রমাণ + ষ্ণ
বক্তৃতা = বক্তৃ + তা
বার্ষিক = বর্ষ + ষ্ণিক (ইক)
বাস্তব = বস্ত + ষ্ণ
বৈজ্ঞানিক = বিজ্ঞান + ইক
বৈমাত্রেয় = বিমাতা + ষ্ণেয়
বৈশ্বজনীন = বিশ্বজন + ই
ব্রাহ্মণ, ব্রাহ্ম = ব্ৰহ্মণ্‌ + অ
ভৌগোলিক = ভূগোল + ষ্ণিক
মানব = মানব + ষ্ণ
মানবিক = মানব + ষ্ণিক
লৌকিক = লোক + ষ্ণিক
শৈশব = শিশু + ষ্ণ
শ্রীমান = শ্রী + মতুপ
সাংবাদিক = সংবাদ + ষ্ণিক (ইক)
সামুদ্রিক = সমুদ্র + ইক
সৌন্দর্য (ই স্থলে ঔ) = সুন্দর + ষ্ণ্য
সৌহার্দ = সুহৃদ + অ
স্ত্রৈণ = স্ত্রী + ষ্ণ
স্থৈর্য ( ই স্থলে ঐ) = স্থির + ষ্ণ্য
হৈমন্তিক = হেমন্ত+ষ্ণিক

প্রত্যয় নির্ণয়ের ১০টি স্পেশাল সূত্র:

স্পেশাল সূত্র নং ➔ ১

শব্দের শেষে ‘ব’প্রত্যয় থাকলে –

[মূল শব্দ + ষ্ণ]হবে।

 

যেমনঃ

মানব=মনু+ষ্ণ—–তদ্ধিত প্রত্যয়

দানব=দনু+ষ্ণ—–তদ্ধিত প্রত্যয়

লাঘব=লঘু+ষ্ণ—–তদ্ধিত প্রত্যয়

শৈশব =শিশু +ষ্ণ—–তদ্ধিত প্রত্যয়

ইত্যাদি।

স্পেশাল সূত্র নং ➔ ২

শব্দের শেষে ‘মা’ এবং ‘ম’ প্রত্যয় থাকলে –

[মূল শব্দ + ইমন ]হবে।

 

যেমনঃ

নীলিমা=নীল+ইমন—-তদ্ধিত প্রত্যয় পূর্ণিমা =পূর্ণ +ইমন—-তদ্ধিত প্রত্যয়

দ্রাঘিমা =দীর্ঘ +ইমন—-তদ্ধিত প্রত্যয়

মহিমা =মহৎ +ইমন—–তদ্ধিত প্রত্যয়

ইত্যাদি।

স্পেশাল সূত্র নং ➔ ৩

শব্দের শেষে ‘ইক’ প্রত্যয় থাকলে –

[মূল শব্দ + ষ্ণিক ]হবে।

 

যেমনঃ

সাহিত্যিক=সাহিত্য+ষ্ণিক —-তদ্ধিত প্রত্যয়

সামাজিক =সমাজ +ষ্ণিক—-তদ্ধিত প্রত্যয়

হৈমন্তিক =হেমন্ত +ষ্ণিক—-তদ্ধিত প্রত্যয়

ধার্মিক =ধর্ম +ষ্ণিক—–তদ্ধিত প্রত্যয়

ইত্যাদি।

স্পেশাল সূত্র নং ➔ ৪

শব্দের শেষে ‘মান’প্রত্যয় থাকলে –

[মূল শব্দ +মতুপ/শানচ]হবে।

প্রকৃতি ও প্রত্যয় মনে রাখার কৌশল

যেমনঃ

কীর্তিমান =কীর্তি+মতুপ/শানচ—-তদ্ধিত প্রত্যয়

বুদ্ধিমান =বুদ্ধি +মতুপ/শানচ—-তদ্ধিত প্রত্যয়

শ্রীমান =শ্রী+মতুপ/শানচ—-তদ্ধিত প্রত্যয়

বর্তমান=√বৃত+মতুপ/শানচ—–কৃৎপ্রত্যয়

বর্ধমান =√বৃধ+মতুপ/শানচ—-কৃৎপ্রত্যয়

ইত্যাদি।

[বিঃদ্রঃ এখানে ‘মতুপ’ ‘শানচ’ এই ২টাই দেওয়া হয়েছে।আপনারা লেখার সময় যেকোন ২টার মধ্যে যেকোন ১টি লিখবেন]

স্পেশাল সূত্র নং ➔ ৫

শব্দের শেষে ‘বান’ প্রত্যয় থাকলে –

[মূল শব্দ + বতুপ]হবে।

 

যেমনঃ

দয়াবান=দয়া+বতুপ—-তদ্ধিত প্রত্যয়

পূণ্যবান=পূণ্য +বতুপ—-তদ্ধিত প্রত্যয়

মেহেরবান =মেহের +বতুপ—-তদ্ধিত প্রত্যয়

মূল্যবান =মূল্য +বতুপ—–তদ্ধিত প্রত্যয়।

সূত্র নং ➔ ৬

শব্দের শেষে ‘তা’ প্রত্যয় থাকলে –

[মূল শব্দ + তৃচ ]হবে।

 

যেমনঃ

দাতা=√দা+তৃচ—-কৃৎপ্রত্যয়

মাতা =√মা+তৃচ—-কৃৎপ্রত্যয়

বিধাতা =√বি +ধা+তৃচ—-কৃৎপ্রত্যয়

বহতা =বহ +তৃচ—–তদ্ধিত প্রত্যয়

ইত্যাদি।

স্পেশাল সূত্র নং ➔ ৭

শব্দের শেষে ‘ল’ প্রত্যয় থাকলে –

[মূল শব্দ + লচ ]হবে।

 

যেমনঃ

শীতল=শীত+লচ—-তদ্ধিতপ্রত্যয়

শ্যামল=শ্যান+লচ—-তদ্ধিতপ্রত্যয়

ইত্যাদি।

স্পেশাল সূত্র নং ➔ ৮

শব্দের শেষে ‘বী’ প্রত্যয় থাকলে –

[মূল শব্দ + বিন ]হবে।

 

যেমনঃ

মেধাবী=মেধা+বিন—-তদ্ধিতপ্রত্যয়

মায়াবী =মায়া+বিন—-তদ্ধিতপ্রত্যয়

ইত্যাদি।

স্পেশাল সূত্র নং ➔ ৯

শব্দের শেষে ‘অক’ প্রত্যয় থাকলে –

[মূল শব্দ + নক/অক ]হবে।

 

যেমনঃ

নায়ক =√নী+নক/অক—-কৃৎপ্রত্যয়

গায়ক=√গৈ+নক/অক—–কৃৎপ্রত্যয়

ইত্যাদি।

[বিঃদ্রঃ এখানে মূল শব্দের সাথে ‘নক’ এবং ‘অক’ এই দুইটাই দেওয়া হয়েছে। আপনারা লিখার সময় যেকোন একটি লিখবেন]

স্পেশাল সূত্র নং ➔ ১০

শব্দের শেষে ‘ই’ প্রত্যয় থাকলে –

[মূল শব্দ + ষ্ণি ]হবে।

 

যেমনঃ

রাবনি=রাবন+ষ্ণি

প্রকৃতি ও প্রত্যয় – এর বাইরে আর নাই

প্রকৃতি ও প্রত্যয় মনে রাখার কৌশল

বিগত বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা  কিছু নমুনা প্রশ্ন

০১।  বাংলা কৃদন্ত শব্দ কোনটি?            [ঢাবি-ক ১৭-১৮]

(ক) বহতা

(খ) মৌন

✔️ (গ) জ্যান্ত

(ঘ) দাপট

০২।  বাংলা ভাষায় ‘ত্ব’ যে ধরনের ব্যাকরণিক উপাদান-            [ঢাবি-খ ১৭-১৮]

(ক) উপসর্গ

(খ) ফলা

✔️ (গ) প্রত্যয়

(ঘ) বিশেষণ

০৩।  ‘বাক্য’ এর প্রকৃতি-প্রত্যয় কোনটি?           [ঢাবি-গ ১৭-১৮]

(ক)  √বাক+ত

✔️ (খ) √বচ্‌+য

(গ) √বাক্‌+য

(ঘ) √বাচ্‌+য

০৪।  কোনটি প্রত্যয়ান্ত শব্দ?                [ঢাবি-ঘ ১৭-১৮]

(ক) লামা

(খ) জামা

(গ) গামা

✔️ (ঘ) হেমা

০৫।  প্রত্যয়ঘটিত অশুদ্ধ শব্দের দৃষ্টান্ত হলো-  [ঢাবি-খ ১৭-১৮]

(ক) পুরস্কার

(খ) অর্ধরাত্রি

✔️ (গ) প্রতিদ্বন্দ্বীতা

(ঘ) ষ্টেডিয়াম

০৬।  ‘ইক’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়-             [ঢাবি-ক ১৫-১৬]

(ক) অন্য পদকে বিশেষ্য করার জন্য

✔️ (খ) বিশেষ্যকে বিশেষণ করার জন্য

(গ) বিশেষণকে ক্রিয়াবিশেষণ করার জন্য

(ঘ) বিশেষণকে বিশেষ্য করার জন্য

০৭।  ‘চলনসই’ শব্দের ‘সই’-                  [ঢাবি-ক ১৬-১৭]

✔️ (ক) বাংলা কৃৎ প্রত্যয়

(খ) বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

(গ) সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

(ঘ) বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়

০৮।  ‘ঐকতান’ শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয়-           [ঢাবি-গ ১৬-১৭]

✔️ (ক) একতান+অ

(খ) ঐক্য+তান

(গ) একতা+ইন

(ঘ) এক+তান

০৯।  দুঃখ+ইত= দুঃখিত, কোন প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ?                      [ঢাবি-খ ১৬-১৭]

(ক) বাংলা কৃৎ প্রত্যয়

(খ) সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

(গ) বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

✔️ (ঘ) সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

১০।  ‘স্মরণ’ শব্দটির প্রকৃতি-প্রত্যয় কোনটি?     [জবি-A ১৭-১৮]

(ক) √স্ব+অরন

✔️ (খ) √স্মৃ+অন

(গ) √স্মর+ণ

(ঘ) √স্মৃ+রণ

১১।   ‘দীক্ষা’ শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় কোনটি?   [জবি-ঘ ১৭-১৮]

(ক) দীখ্‌+অ

✔️ (খ) দীক্ষ্‌+অ

(গ) দিক্ষ্‌+আ

(ঘ) দী+ক্ষা

১২।  ‘সৌভাগ্য’ শব্দটির প্রকৃতি-প্রত্যয় কোনটি? [জবি-ক ১৫-১৬]

✔️ (ক) সুভগ+ষ্ণ্য

(খ) সৌভগ+ষ্ণ

(গ) সৌভগ+ষ্ণ্য

(ঘ) সুভগ+ষ্ণ

১৩।  ‘ফুলদানি’ শব্দের ‘দানি’-র ভাষিক নাম কি?           [জবি-খ ১৫-১৬]

✔️ (ক) শব্দপ্রত্যয়

(খ) শব্দ

(গ) শব্দধাতু

(ঘ) শব্দবিভক্তি

১৪।  ‘দুগ্ধ’ শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয় কোনটি?         [জবি-খ ১৬-১৭]

(ক) √দুক্‌+হ

(খ) √দুক্‌+ধ

✔️ (গ) √দুহ্‌+ক্ত

(ঘ) √দুহ্‌+ধ

১৫।  কোনটি প্রত্যয়নিষ্পন্ন শব্দ?          [জবি-চ ১৬-১৭]

(ক) অনাদর

(খ) অরুণোদয়

✔️ (গ) বিবিয়ানা

(ঘ) শিক্ষকগণ

১৬।  ‘কাব্য’ এর প্রকৃতি ও প্রত্যয় কোনটি?        [জাবি-C ১৭-১৮]

(ক) কবি+অ

✔️ (খ) কবি+য

(গ) কবিতা+অ

(ঘ) কবিতা+য

১৭।   ‘বান্ধব’ এর প্রকৃতি ও প্রত্যয় কোনটি?       [জাবি-C ১৭-১৮]

(ক) বন্ধু+অব

(খ) বন্ধু+ইব

(গ) বান্ধ+অব

✔️ (ঘ) বন্ধু+ষ্ণ

১৮।  ‘শ্রেষ্ঠ’ এর প্রকৃতি ও প্রত্যয় কোনটি?         [জাবি-C ১৭-১৮]

✔️ (ক) শ্র+ইষ্ট

(খ) শ্রেয়+ঈ

(গ) শ্রেয়স+ইষ্ট

(ঘ) শ্রেয়স+ঈষ্ঠ

১৯।  ‘শ্রদ্ধাবান’ এর প্রকৃতি ও প্রত্যয় কোনটি?   [জাবি-C ১৭-১৮]

(ক) শ্রদ্ধা+বান

✔️ (খ) শ্রদ্ধা+বতুপ

(গ) শ্রদ্ধা+বাণ

(ঘ) শ্রদ্ধ+বান

২০।  ‘উচিত’ শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় কোনটি?  [জাবি-B ১৭-১৮]

✔️ (ক) √বচ+ইত

(খ) √উচ+ত

(গ) উঢ়+ইত

(ঘ) উচ্‌+চিত

২১।  ‘রূঢ়ি’ এর প্রকৃতি-প্রত্যয় কোনটি?  [DU-A 18-19 ]

✔️ (ক) √রুহ্‌+তি

(খ)) √রহু+ তি

(গ)  √রুৎ+তি

ঘ) √রুহ্‌+ধী

২২। ‘বৈশিষ্ট্য’ শব্দটি গঠিত হয়েছে-     [DU-A 19-20 ]

(ক) সন্ধি যোগে

(খ) সমাস যোগে

(গ) প্রত্যয় যোগে

(ঘ)  উপসর্গযোগে

২৩।  ‘মানানসই’ শব্দের ‘সই’ কোন ধরনের প্রত্যয়?           [DU-D 19-20 ]

(ক) বাংলাকৃৎপ্রত্যয়

(খ)  বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

(গ)  সংস্কৃতি তদ্ধিত প্রত্যয়

(ঘ) বিদেশী প্রত্যয়

প্রকৃতি ও প্রত্যয় মনে রাখার সহজ কৌশল মনে রাখতে পারলেই খুব সহজে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব। তাই সাহিত্য শব্দের প্রকৃতি প্রত্যয় জানা খুব জরুরি কারন বিভিন্ন পরীক্ষায় এসে থাকে। প্রকৃতি ও প্রত্যয় মনে রাখার কৌশল গুলো তাই বারবার পড়ে মুখস্তু করে ফেলুন। প্রত্যয়ের নামসহ প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় জানা খুবই জরুরি। তাই প্রত্যয়ের নামসহ প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় জানা দরকার।

 

আরোও পড়তে পারেন:

 

About Karmojog

Check Also

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২৩ সালের চাকরির পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *