নবম শ্রেণি কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ | ৮ম সপ্তাহ আপনি কি নবম (৯ম) শ্রেণির ৮ম সপ্তাহের কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ (৮ম সপ্তাহ) সন্ধান করছেন? আপনি সঠিক জায়গায় চলে আসছেন কারণ আমরা এখানে নবম (৯ম) শ্রেণির ৮ম সপ্তাহের কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমস্ত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ও সমাধান প্রকাশ করেছি। আপনি আপনার শ্রেণির সমাধান প্রশ্নগুলিও দেখতে পারেন। আপনি যদি চান আপনার অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর সহজেই দেখতে পাবেন।
নবম শ্রেণির সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের জন্য ২০২১ শিক্ষাবর্ষের এসাইনমেন্ট প্রকাশের ধারাবাহিকতায় ৮ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ২০ জুন ২০২১ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অষ্টম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়। যেখানে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, চারু ও কারুকলা, অর্থনীতি বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট রয়েছে।
তারপরে একটি এসাইনমেন্ট তৈরি করা আপনার পক্ষে সুবিধাজনক হবে। নবম (৯ম) শ্রেণির ৮ম সপ্তাহের কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট এসাইনমেন্টের উত্তর আমরা প্রতিটি বিষয়ের জন্য ধাপে ধাপে এখানে আলোচনা করেছি। সুতরাং আপনি এখান থেকে আমাাদের ওয়েব সাইটে kormojog.com আপনার শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের উত্তর সংগ্রহ করতে পারেন। নীচে আপনার উত্তর দেওয়া আছে।
আপনি যদি ৮ম সপ্তাহের নবম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা স্টাডিজ নিয়োগের সন্ধান করছেন, আমরা আপনার জন্য এখানে আছি বিশেষজ্ঞের সহায়তায় আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোত্তম কৃষি শিক্ষা উত্তর সরবরাহ করি। আপনার অ্যাসাইনমেন্টটি সম্পূর্ণ করতে, আমাদের প্রদত্ত উত্তর আপনাকে আপনার একটি লেখার ক্ষেত্রে অনেক সহায়তা করবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর বিবরণ এবং ভাল মার্ক পাওয়ার জন্য সেরা। নবম শ্রেণি কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
class 9 agricultural education assignment answer 2021
ক্লাস নবম কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট সম্পর্কিত সকল তথ্য আমাদের এখানে বিস্তারিত আকারে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং আপনি যদি কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট সম্পর্কিত কোন তথ্য জানতে চান, তাহলে আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালভাবে পড়ুন। তাহলে আশা করা যায় ক্লাস নবম কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট সম্পর্কে সকল তথ্য আপনি আমাদের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন।
যে যেহেতু প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্ট বিদ্যালয় জমা দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে। সুতরাং আমি বলতে পারি যে, ক্লাস নবম এর শিক্ষার্থীদের জন্য এই অ্যাসাইনমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই অ্যাসাইনমেন্ট আপনার বিদ্যালয় জমা দিলেই আপনি পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে পারবেন।
নবম শ্রেণি কৃষি শিক্ষা ৮ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট
প্রথম অধ্যায়:কৃষি প্রযুক্তি
একজন ধানচাষী চটের ব্ধায় ধানের বীজ সংরক্ষণ করে বীজতলায় বন করলে খুব কম সংখ্যক বীজ অংকুরিত হয়। অন্যদিকে এক জন দুদ্ধ খামার মালিক বছরব্যাপী তার গাভীগুলােকে কাঁচা ঘাস সরবরাহ করেন। কিন্তু হঠাৎ বন্যার কারণে তার গাভীগুলে মারাত্ক খাদ্য সংকটে পড়ে। উপরােক্ত ধানচাষী ও দুদ্ধ থামারী কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে বীজ ও ঘাস সংরক্ষণ করলে এ সংকটে পড়তেন না।
এ ব্যাপারে তেমার মতামতসহ একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
নবম শ্রেণির ষষ্ঠ সপ্তাহের কৃষি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
বীজ সংরক্ষণের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলাে বীজের গুণগতমান রক্ষা করা এবং যেসব বিষয় বীজকে ক্ষতি করতে পারে সেগুলাে সম্পর্কে সতর্ক হওয়া ও প্রতিরােধের ব্যবস্থা করা।
বীজ সংরক্ষণের পদ্ধতিঃ
বাংলাদেশে বীজ সংরক্ষণের অনেক পদ্ধতি আছে। এক এক ফসলের বীজের জন্য এক এক রকম পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেমন দানাজাতীয় শস্য- ধান, গম, ভুট্টা, বীজের জন্য ধানগােলা, ডােল মাটির পাত্র, চটের বস্তা, পলিব্যাগ ও বেড ব্যবহার করা হয়। নিম্নে ফসল সংরক্ষণের পদ্ধতি সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে।
বীজ শুকানাে ও চটের বস্তায় সংরক্ষণঃ
বীজ শুকানাে অর্থ হচ্ছে বীজ থেকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা সরানাে এবং পরিমিত মাত্রায় আনা। আর্দ্রতার মাত্রা ১২ – ১৩% হলে ভালাে হয়। বাংলাদেশে বীজ শুকানাে হয় রােদে বা সূর্যতাপে। এই আদ্রর্তা ১২-১৩ শতাংশ নামাতে বীজগুলােকে প্রায় তিনদিন প্রখর রােদে শুকাতে হয়। ঠিকমতাে শুকিয়েছে কিনা তা বীজে কামড় দিয়ে পরখ করতে হবে। বীজে কামড় দেওয়ার পর যদি কট’ করে আওয়াজ হয় তবে মনে করতে হবে বীজ ভালােমতাে শুকিয়েছে। অতঃপর বীজগুলােকে চটের বস্তায় নিয়ে গােলা ঘরে রাখা হয়। বীজ পােকার উপদ্রব থেকে রক্ষার জন্য বীজের বস্তায় নিমের পাতা, নিমের শিকড়, আপেল বীজের গুঁড়া, বিশকাটালি ইত্যাদি মেশানাে হয় ।
ধান গােলায় সংরক্ষণঃ
ধান সংরক্ষণের জন্য ধানের গােলা ব্যবহার হয়ে থাকে। ধানগােলার আয়তন বীজের পরিমাণের উপর নির্ভর করে নির্মাণ করা হয়। বীজ রাখার আগে ধানগােলার ভিতরে ও বাইরে গােবর ও মাটির মিশ্রণের প্রলেপ দিয়ে বীজ রাখার উপযুক্ত করতে হবে। বীজগুলাে এমনভাবে ভরতে হবে যেন এর ভিতর কোনাে বাতাস না থাকে। সেই জন্য ধানগােলার মুখ বন্ধ করে এর উপর গােবর ও মাটির মিশ্রণের প্রলেপ দিতে হবে।
ডােলে সংরক্ষণঃ
ডােল আকারে ধানগােলার চেয়ে ছােট। ডােল ধানগােলার চেয়ে কম ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বীজ পাত্র। এটি বাঁশ বা কাঠ দিয়ে গােলাকার করে তৈরি করা হয়। ধানগােলার মতােই ডােলের বাইরে ও ভিতরে গােবর ও মাটির মিশ্রণের প্রলেপ দিয়ে ভালােভাবে শুকিয়ে বীজ রাখার উপযুক্ত করা হয়।
পলিথিন ব্যাগে সংরক্ষণঃ
আজকাল পাঁচ কেজি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন পলিথিন ব্যাগে বীজ সংরক্ষণ করা হয়। এই ব্যাগ আরডিআরএস কর্তৃক উদ্ভাবিত। সাধারণ পলিথিনের চেয়ে বীজ রাখার পলিথিন অপেক্ষাকৃত মােটা হয়। শুকনাে বীজ এমনভাবে পলিথিন ব্যাগে রাখতে হবে যাতে কোনাে ফাঁক না থাকে এবং ব্যাগ থেকে সম্পূর্ণ বাতাস বেরিয়ে আসে। অতঃপর ব্যাগের মুখ তাপের সাহায্যে এমনভাবে বন্ধ করতে হবে যেন বাইরে থেকে ভিতরে। বাতাস প্রবেশের সুযােগ না থাকে।
মটকায় সংরক্ষণঃ
মটকা মাটি নির্মিত একটি গােলাকার পাত্র। গ্রাম বাংলায় এটি বহুল পরিচিত। এটি বেশ পুরু এবং মজবুত। মটকার বাইরে মাটি বা আলকাতরার প্রলেপ দেওয়া হয়। গােলা ঘরের মাচার নির্দিষ্ট স্থানে মটকা রেখে এর ভিতর শুকনাে বীজ পুরােপুরি ভর্তি করা হয়। অতঃপর ঢাকনা দিয়ে বন্ধ করে উপরে মাটির প্রলেপ দিয়ে বায়ুরােধ করা হয়।
খাদ্য সংরক্ষণের প্রয়ােজনীয়তাঃ
বাংলাদেশে প্রাপ্ত গবাদিপশুর খাদ্যের বেশির ভাগ কৃষি শস্যের উপজাত। এসব উপজাত শস্য মাড়াই বা শস্যদানা প্রক্রিয়াজাত করার পর পাওয়া যায়। বর্ষা মৌসুমে অনেক ঘাস উৎপাদিত হওয়ায় তা গবাদিপশুকে খাওয়ানাের পরও অতিরিক্ত থেকে যায়। আবার শীতকালেও অতিরিক্ত শিম গােত্রীয় ঘাস উৎপাদন হয়। তাই এই অতিরিক্ত ঘাস সংরক্ষণের প্রয়ােজন হয়। যখন ঘাসের অভাব হয় তখন এই সংরক্ষিত ঘাস গবাদিপশুকে সরবরাহ করা হয়। খাদ্য সংরক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে খাদ্যকে রােগজীবাণু ও পচনের হাত থেকে রক্ষা করা । পশুপাখির দানাদার খাদ্যকে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত কক্ষে সংরক্ষণ করে বেশি দিন গুণাগুণ ঠিক রেখে সংরক্ষণ করা যায়। খাদ্যের আর্দ্রতা বেশি হলে এতে ছত্রাক জন্মায়। ছত্রাক জন্মানাে খাদ্য খেলে পশুপাখির দেহে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ফলে অনেক সময় পশু অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
খাদ্য সংরক্ষণের উপায়ের বিভিন্ন ধাপসমূহঃ
(ক) হে তৈরির মাধ্যমে সবুজ ঘাস সংরক্ষণ করা হয়। দ্বিতীয় অধ্যায়ে হে তৈরি সম্পর্কে আলােচনা করা হয়েছে। তবুও নিম্নে হে তৈরির বিভিন্ন ধাপগুলাে দেওয়া হলাে-
- ১। হে তৈরির জন্য শিম গােত্রীয় ঘাস যেমন, সবুজ খেসারি, মাসকলাই বেশি উপযােগী।
- ২। ফুল আসার সময় ঘাস কাটতে হয় ।
- ৩। ঘাস রােদে শুকিয়ে আর্দ্রতা ১৫-২০% এর মধ্যে রাখা হয়।
- ৪। ঘাস শুকিয়ে মাচার উপর স্তুপাকারে বা চালাযুক্ত ঘরে সংরক্ষণ করা হয়।
(খ) সাইলেজ তৈরির মাধ্যমে সবুজ ঘাস সংরক্ষণ করা হয়। দ্বিতীয় অধ্যায়ে সাইলেজ তৈরি সম্পর্কে আলােচনা করা হয়েছে। তবুও নিম্নে সাইলেজ তৈরির ধাপগুলাে দেওয়া হলাে-
- ১। সাইলেজ তৈরির জন্য ভুট্টা, নেপিয়ার, গিনি ঘাস বেশি উপযােগী।
- ২। ফুল আসার সময় রসাল অবস্থায় ঘাস কাটতে হয়।
- ৩। ঘাস কেটে বায়ুনিরােধক স্থানে বা সাইলাে পিটে রাখা হয়।
- ৪। সাইলাে পিটে ঘাস রাখার সময় ঝােলাগুড়ের দ্রবণ ছিটিয়ে দিতে হয়।
- ৫। তারপর বায়ু চলাচল বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
(গ)খড় তৈরির মাধ্যমে ফসলের বর্জ্য সংরক্ষণ করা হয়। আমাদের দেশে বেশিরভাগ কৃষক পরিবারে গরুর জন্য খাদ্য হিসাবে খড় ব্যবহার করা হয়। গরুকে দৈনিক ৩-৪ কেজি শুকনাে খড় দেওয়া হয়। এটি আঁশজাতীয় খাদ্য। নিম্নে খড় তৈরির ধাপগুলাে দেওয়া হলাে-
- ১। শস্যগাছ (ধান, ভুট্টা, খেসারি ইত্যাদি গাছ) ক্ষেত থেকে কাটার পর সেগুলাে মাড়াই করে শস্যদানা আলাদা করে ফেলা হয়।
- ২। বর্জ্য গাছগুলাে রােদে শুকিয়ে আর্দ্রতা ১৫-২০% এর মধ্যে এনে খড় তৈরি করা হয়।
- ৩। খড় সাধারণত গাদা করে রাখা হয়।
(ঘ)দানাশস্য ও তৈলবীজের উপজাত সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হয়। ধান, গম, ভুট্টা, খেসারি, কলাই ইত্যাদি দানাশস্যের উপজাতসমূহ যেমন, চালের কুঁড়া, গমের ভুসি, ডালের খােসা, খৈল ইত্যাদি সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হয়।
(ঙ)কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে খাদ্য সংরক্ষণ করা হয়। যেমন, পােস্ট্রির জন্য দানাদার খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করে মেশ, পিলেট ও ক্রাম্বল ফিড তৈরি করা হয়।
প্রিয় শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের পরামর্শ, আমরা যেভাবে উত্তর/সমাধান দিব সেটা হুবহু না লিখে উত্তরটা নিজের ভাষায় লেখার চেষ্টা করতে l এতে করে শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজে ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে ।
প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট পাওয়ার জন্য kormojog.com এর ফেসবুক পেইজ কর্মযোগ লাইক এবং ফলো করে রাখ।