ডায়াবেটিকস কিঃ ডায়াবেটিস হলে ইনসুলিন এর একটি সমস্যা জনিত রোগ। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ ইনসুলিন ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার জন্য ইনসুলিন এর ঘাটতি এবং রক্তে গ্লুকোজের বাড়তি হয় তখন ওই অবস্থায় হচ্ছে ডায়াবেটিস মেলিটাস।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস রোগী হিসেবে কোন ব্যক্তিকে তখনই চিহ্নিত করা হয় যখন, রক্তে গ্লুকোজের সুনির্দিষ্ট মাত্রা অতিক্রম করে। অতএব সামগ্রিক ভাবে বলা যায় যে রক্তের প্লাজমায় প্রতি লিটারে 7.0 মিলিমিটার বা তার বেশি।
এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে গ্লুকোজ কেন বাড়েঃ
মানুষের অগ্নাশয় নামক একটি গ্রন্থি সেখান থেকে ইনসুলিন নামক হরমোনটি নিঃসৃত হয়। যখন শরীরের এই ইনসুলিন কমে বা বেড়ে যায় এবং মাত্রাতিরিক্ত গ্লুকোজ প্রসাবের সাথে বেরিয়ে যায়।
ডায়াবেটিকস কি কি কারণে হতে পারেঃ
সাধারণত দুটো কারণে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে
১৷ বংশগতভাবে ।
২৷ পরিবেশগতভাবে।
এছাড়াও অন্যান্য কারণ ও ডায়াবেটিস হতে পারে তবে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই যে এটি ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ নয়।
ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণঃ
১৷ ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ।
২৷ খুব বেশি পিপাসা লাগা ।
৩৷ বেশি ক্ষুদা পাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যাওয়া ।
৪৷ ক্লান্তি ও দুর্বলতা বোধ করা।
ডায়াবেটিকস কি পুরোপুরি সরানো যায়?
ডায়াবেটিস রোগ সরে না তবে নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে গেলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ডায়াবেটিকস এর মূল প্রতিকারঃ
১। শিক্ষা৷
২৷ প্রয়োজন এ ওষুধ ।
৩৷ নিয়মিত খাদ্যতালিকা ।
৪৷ নিয়মিত ব্যায়াম করা।
এছাড়াও যেভাবে প্রতিকার করা যায়ঃ
আমরা জানি ডায়াবেটিস কোন ভাবেই প্রতিরোধ করা যায় না। তবে বিভিন্ন উপায়ে কেবল এটা সাময়িক ভাবে প্রতিকার করা যায়।
যেমন, ব্যায়াম।
ব্যায়ামঃ শরীরকে সুস্থ রাখতে রোগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে শারীরিক ব্যায়াম অতি আবশ্যক প্রতিদিন দুইবেলা যেমন সকাল ও বিকালে 4 থেকে 5 কিলোমিটার হাঁটতে হবে।
খাদ্যভ্যাসঃ আমরা সবসময় চর্বি ও অতিরিক্ত চিনি দ্বারা তৈরি খাদ্য গ্রহণ করা হতে বিরত থাকতে হবে৷ যদি সকালবেলা রুটি দুপুরে ভাত ও রাত্রে রুটি খাওয়া যায় তবে ডায়াবেটিকস এ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এই খাদ্যভাস।
মানুষের জীবন অতি ব্যস্তময়। তাই রোগ থেকে প্রতিকার পেতে সবসময় ডাক্তারি পরামর্শ পালন করা সম্ভব হয় না। আমাদের গ্রামীণ সমাজে ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া যে সব উপায়ে ডায়াবেটিকস এর প্রতিকার পেতে পারি তা নিম্নে তুলে ধরা হলো।
১৷ সঠিক খাদ্যাভাস মেনে চলা ।
২৷ খেলাধুলা করে শারীরিক ব্যায়াম করা ।
৩৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শারীরিক পরিশ্রম ও ভিটামিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা ।
৪৷ প্রয়োজনে ঔষধ সেবন করা৷ নিয়মিত ঘুম পারাও রাত জাগা বন্ধ করা ।
৫৷ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না করা ।
আরো পড়তে পারেন:
শীতে হাঁটু ব্যথা কেন হয়? কারণ ও প্রতিকারে
ভিডিও দেখতে:
One comment
Pingback: শরীর ও মনকে ফিট রাখার ৯টি উপায় - Kormojog